জনাব ফরহাদ সাহেব তার সঞ্চিত ১০ লক্ষ টাকা ১০% সুদে ১০ বছরের জন্য পদ্মা ব্যাংকে জমা রাখতে চাইল। কিন্তু তার স্ত্রী সালমা তাকে ব্যাংকে জমা না রেখে নিজ পৌরসভায় জমি কেনার পরামর্শ দেন, যেখানে ৮ বছরে জমির মূল্য দ্বিগুণ হওয়ায় এবং উক্ত সময়ের মধ্যে জমি থেকে অতিরিক্ত ২ লক্ষ টাকা আয়ের নিশ্চয়তা আছে। বিষয়টি নিয়ে জনাব ফরহাদ সাহেব সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।
শতদল কোম্পানি সর্বদাই মূলধন বাজেটিং-এর অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে প্রকল্পের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সম্প্রতি উক্ত কোম্পানি এর সমবিনিয়োগের দুটি প্রকল্প 'দিবা' ও 'নিশি '-এর পে-ব্যাক সময় নির্ণয় করতে গিয়ে ৩য় বছরে ক্রমযোজিত নগদ প্রবাহ যথাক্রমে ০ ও -১০ পেল। ৪র্থ বছরে উভয় প্রকল্পের নগদ প্রবাহ ২০।
শ্যাম্পু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘স্যাম্পী লিঃ’ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা, রুচি, প্রভৃতি বিবেচনা করে বড় সাইজের বোতলের পাশাপাশি মিনি প্যাক, মাঝারি প্যাক ও ক্ষুদ্রাকৃতির বিকল্প কন্ডিশনার তৈরির জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে চায়। আয়-ব্যয় প্রাক্কলন করে দেখা যায় ৫ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে প্রাথমিক বিনিয়োগ ৫ কোটি টাকা এবং বিক্রয়ের পরিমাণ যথাক্রমে ৭০ লক্ষ, ১.৪ কোটি, ২কোটি, ২.৫কোটি ও ১.৬ কোটি টাকা। অন্যান্য চলতি খরচ বিক্রয়ের ৪০% এবং কর ৩০% ।
প্রিয়ন্তী টেক্সটাইল লিঃ এর পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা যার মধ্যে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ার মূলধন ৫ কোটি, ৬% অগ্রাধিকার শেয়ার মূলধন ৩ কোটি এবং অবশিষ্ট ৮% ঋণমূলধন ৷ ২০১২ সালে কোম্পানি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ প্রদানের এবং তা প্রতিবছর ১০% বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং মুনাফার বৃহৎ একটি অংশ দ্বারা ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ গ্রহণ করে ।
শাহীনুর সরকারি চাকরি থেকে অবসরগ্রহণের পর কয়েক লক্ষ টাকা হাতে পান। তিনি এই অর্থ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন। তিনি এমন বিনিয়োগকারী হতে চান যেন তাকে সুদ পেতে না হয় এবং কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তাই তিনি ‘সূর্যোদয়’ ও ‘সৈকত' কোম্পানির বিভিন্ন কার্যক্রমে তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করছেন।
কৃষক মিন্টু বসাক তার নিজ এলাকায় মহাজনের নিকট থেকে সাপ্তাহিক ১% হারে চক্রবৃদ্ধি সুদে ঋণ গ্রহণ করেন। যেখানে বার্ষিক সুদ হবে ৫২%। অন্যদিকে জনাব সামাদ ‘সূচী ও রুচী' নামক দু'টি প্রকল্পের একটিতে বিনিয়োগে আগ্রহী। সূচী প্রকল্প থেকে বিগত তিন বছরের আয়ের পরিমাণ যথাক্রমে ১২%, ১৪%, ৮%। একই সময়ে রুচী প্রকল্পের আয়ের গড় ৫৫% এবং আদর্শ বিচ্যুতি ৫.৫৮%।
জনাব আসলাম এককালিনপ্রাপ্ত ১ লক্ষ টাকা ৮% সুদে ‘A’ কোম্পানির বন্ডে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু কিছু দিনপর অর্থের সংকট হওয়ায় বন্ডগুলো কম বাজার মূল্যে বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হন। অন্যদিকে মান্নান এন্টারপ্রাইজ ‘মুন’ ও ‘স্টার' নামে দু'টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চান' উভয় প্রকল্পের মেয়াদ ৩ বছর ও প্রাথমিক বিনিয়োগ ১৫ লক্ষ টাকা, “মুন” প্রকল্পের ৩ বছরের নগদ প্রবাহ যথাক্রমে ৭ লক্ষ, ৯ লক্ষ ও ৪ লক্ষ টাকা, অন্য দিকে তিনি ‘স্টার' প্রকল্প থেকে ৩ বছরেই বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত আসবে বলে আশা করছেন।
শীতবস্ত্র উৎপাদনকারী জনাব জালাল আহমেদ এ বছর শীত বেশি পড়বে এই আশায় নতুন মেশিন কিনে অধিক পরিমাণে শীতবস্ত্র উৎপাদন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে শীত তেমন না হওয়ায় তিনি অতিরিক্ত শীতবস্ত্র বিক্রিতে ব্যর্থ হন। অন্য দিকে জনাব আরমান পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত ৫ লক্ষ টাকা ৫ বছরের জন্য “সততা ব্যাংকে” জমা রাখতে চাইলে তার বন্ধু তাকে উক্ত অর্থ সাধারণ শেয়ারে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভবান হবেন বলে জানান ।
জনাব শাহেদ চামড়ার জুতা-স্যান্ডেল তৈরির ব্যবসায়ের মালিক। সম্প্রতি তার ব্যবসায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ‘পদ্মা ব্যাংক’ থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ‘পদ্মা ব্যাংক’ তাকে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পুরানো মেশিনের স্থলে নতুন মেশিন ক্রয়ের পরামর্শ দেন। আবার পদ্মা ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাসহ গ্রাহকদের বিভিন্ন মুখী সেবা প্রদান করে আসছেন ।
জনাব ফয়সাল আহমেদ দক্ষিণ কোরিয়ায় চিংড়ি রফতানি করেন। কোরিয়ান ‘ওন টাকায় পরিণত করার প্রয়োজন হলে ‘সিনথি ব্যাংক' কাজটিতে সহয়তা করে। ‘সিনথি’ বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত এবং উক্ত ব্যাংকের ঋণের সুদ তুলনামূলকভাবে কম। হঠাৎ জনাব ফয়সালের ব্যবসায়ে অর্থের প্রয়োজন হলে তার বন্ধুরা তাকে “কাপ্তাই ব্যাংকের” মাধ্যমে লেনদেন করতে বলেন। কিন্তু তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ‘কাপ্তাই ব্যাংকের’ আমানতের ও ঋণের সুদ উভয়ই বেশি এবং ঋণ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতাও জটিল।
ফ্রান্সের ঔষধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াংকিং' বাংলাদেশের “রূপম ফার্মাসিউটিক্যালস” কে নিয়মিত ঔষধ সরবরাহ করে। এক্ষেত্রে ‘P’ ব্যাংক রূপম ফার্মাসিউটিক্যালস এর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ ব্যবস্থায় ‘ওয়াংকিং' কে অর্থ প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এছাড়া “p” ব্যাংক আমদানি-রপ্তানি কার্যে সহায়তা, উপদেশ ও ঋণ প্রদানসহ ব্যবসায়-বাণিজ্যের উন্নয়নের ব্যাপক সহযোগিতা করে থাকে।
খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রেতা জনাব আলমগীর ক্রেতা জনাব শাহীনের নিকট থেকে ৩০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে পরিশোধযোগ্য ৫,০০০ টাকার একটি বিল পান। এমতাবস্থায় জনাব আলমগীর অর্থের প্রয়োজনে ২৫ নভেম্বর ২০২১ বিলটিকে ‘Q’ ব্যাংকে বিক্রি করে ৪,৮৭৫ টাকা পান। আবার জনাব সিকদার তার ব্যবসায়িক লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংকে ১,০০০ টাকা জমা দিয়ে এমন একটি হিসাব খোলেন যেখান থেকে সপ্তাহে দু'বারের বেশি অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না। সম্প্রত্তি তার হিসাবে রক্ষিত ৫০,০০০ টাকার অতিরিক্ত উঠানোর প্রয়োজন হলে ব্যাংক কর্মকর্তা তাকে অন্য একটি হিসাব খোলার পরামর্শ দেন। যেখান থেকে তিনি জমাকৃত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ উঠানোর সুবিধা পাবেন।
রত্না ফুডস এন্ড বেভারেজ কোঃ লিঃ এর ব্যবস্থাপক ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পাদনের জন্য একটি হিসাব খুলতে চাইলে ব্যাংক তাদেরকে একটি ফরম পূরণসহ বেশ কিছু কাগজ প্রত্রাদি সংযুক্ত করতে বলেন। এছাড়া কোম্পানিটি কিছুদিন পর ঐ ব্যাংক থেকে একটি ইলেকট্রনিক কার্ড গ্রহণ করেন যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বাকিতে মালামাল ক্রয় করা যায় ।
মিসেস রোমানা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে ও মৎস্য প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছেন। তিনি প্রকল্প দুইটি পরিচালনা করতে গিয়ে বর্তমানে অর্থের সংকটে পড়েন। ফলে ঋণকৃত অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন না। এখন তিনি একটি প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গরু মোটা তাজাকরণ প্রকল্পের গত ৫ বছরের আয়ের হার যথাক্রমে ১৬%, ১৮%, ১০%, ৬%, ৫%। মৎস্য চাষ প্রকল্পের গড় আয় ৯% এবং আদর্শ বিচ্যুতি ৮.২৫%।
মি. ইফরান একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে একটি নতুন মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন। মেশিনটির ব্যয় হবে ৩,০০,০০০ টাকা। আয়ুষ্কাল ৫ বছর এবং কর হার ৩০%। উক্ত মেশিন থেকে আগামী ৫ বছরে যথাক্রমে ৯০,০০০ টাকা ১,০০,০০০ টাকা, ১,১০,০০০ টাকা, ১,২০,০০০ টাকা ও ৮০,০০০ টাকা আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি খরচ আয়ের ২০%।
রনি ও জনি লাভ লোকসান সমবণ্টনের শর্তে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে একটি পাইকারী ঔষধের দোকান চালু করেন। অল্প দিনেই তারা সফলতা লাভ করেন। অধিক লাভের আশায় তারা প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় আয়ের অর্থ ৯% সুদে একটি ব্যাংকে জমা রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এ ক্ষেত্রে জনি প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে রেখে অবশিষ্ট অর্থ ব্যাংকে রাখার পরামর্শ দেন ।
সিলেটের বিখ্যাত ব্যবসায়ী জনাব হাফিজ 'সেতু ব্যাংক' এর একটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে যাবতীয় লেনদেন নিষ্পত্তি করেন। সম্প্রতি তিনি কাতারের একজন আমদানিকারকের নিকট হতে গার্মেন্টস পণ্য ক্রয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন। ক্রেতা নতুন হওয়ায় প্রস্তাবটি গ্রহণে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। এসময় কাতারের একটি ব্যাংক লেনদেন সংক্রান্ত নিশ্চয়তা দিলে জনাব হাফিজ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন।
নাবিল ও জামিল দুই বন্ধু প্লাস্টিক কার্ড দ্বারা যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করেন। সম্প্রতি তারা সিলেটে বেড়াতে যান। সেখানে নাবিল একটি সুপার শপ হতে কেনাকাটার মূল্য তার কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। এমতাবস্থায় তার বন্ধু জামিল তার কার্ড দিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন। ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকলেও কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে জামিলকে তার বন্ধুর মত বিরূপ অবস্থার মুখোমুখি হতে হয় না।
স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণকারী জনাব নাসিম তার প্রতিষ্ঠান থেকে এককালীন ২৫ লক্ষ টাকা পান। ছেলের বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য ২০ লক্ষ টাকা ৪ বছরের জন্য অনন্যা ব্যাংকের একটি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখেন। বর্তমানে তিনি ই-কমার্স ব্যবসায় শুরু করেন। এ ব্যবসায়ের আয় থেকে তিনি ৫,০০০ টাকা করে প্রতিমাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমা করার শর্তে ৫ বছর মেয়াদি শৈলী ব্যাংকে একটি হিসাব চালু করেন।
'ক' অর্থায়ন ব্যবস্থায় দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন খাতসমূহে অর্থ ব্যয় করা হয়। এই অর্থব্যবস্থার প্রথমে বায়ের পরিমাণ নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী তহবিল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ঠিক করা হয়। পক্ষান্তরে 'খ' অর্থায়ন ব্যবস্থায় আমদানি ও রপ্তানির খাতসমূহ বিশ্লেষণ এবং এ সংক্রান্ত ঘাটতি ব্যবস্থাপনা আলোচিত হয়।
সুমি এন্ড ব্রাদার্স এর গড় মুনাফার হার ৪০% লক্ষমাত্রায় নির্ধারণ করা হল। এ লক্ষে ৩ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পে ১২,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করল। আগামী ৩ বছরের প্রাক্কলিত বিক্রয় যথাক্রমে ৭ লক্ষ, ৮ লক্ষ এবং ৯ লক্ষ টাকা। অনুমিত হয় যে, প্রতি বছর বিক্রয়ের ৪০% চলতি খরচ হবে। প্রাক্কলিত বার্ষিক অবচয় ১,০০,০০০ টাকা এবং কর হার ৩০% ।
'মেঘলা ব্যাংক' রুবি কোম্পানিকে একটি মেশিন ক্রয়ের সময় জাপানের কিয়াম এন্টারপ্রাইজকে অগ্রিম অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করে দেয়। উক্ত ব্যাংক রুবি কোম্পানির একটি বিলের অর্থ মেয়াদ পূর্তির পূর্বেই পরিশোধ করে দেয়। তাছাড়া কোম্পানির মূল্যবান দলিল নিরাপত্তার জন্য মেঘলা ব্যাংকে জমা রাখে। মেঘলা ব্যাংক অর্জিত মুনাফার সবটুকু শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বন্টন না করে অংশবিশেষ ভবিষ্যতের জন্য মূলধন হিসেবে জমা রাখে।
সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত 'দিনা অয়েল কোম্পানি' প্রতি বছর বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে তেল রপ্তানি করে। উক্ত কোম্পানিতে কর্মরত জনাব রাসেল তার স্ত্রীর নিকট নিয়মিত টাকা পাঠায়। তার স্ত্রী উক্ত টাকায় গ্রামের বাড়িতে একটি মৎস্য খামার স্থাপন করেছেন যা তার পরিবারের সচ্ছলতার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
নিশিথ ব্রাদার্স তিন বছর মেয়াদি 'মান' ও 'মুন' নামে দুটি প্রকল্পের ১২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন। প্রকল্প দুটি সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো-
প্রাক্কলিত বিক্রয় | |||||||
প্রকল্প | প্রথম বছর | দ্বিতীয় বছর | তৃতীয় বছর | চলতি খরচ | স্থায়ী খরচ | অবচয় | কর হার |
(টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | ||
সান | ৭ লক্ষ | ৮ লক্ষ | ৯ লক্ষ | বিক্রয়ের ৪০% | ২ লক্ষ | ১ লক্ষ | ৩০% |
মুন | ৫ লক্ষ | ৯ লক্ষ | ১০ লক্ষ | বিক্রয়ের ৩৫% | ১.৫ লক্ষ | ১ লক্ষ | ৩০% |
গ্লোবাল ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের সাধারণ শেয়ার ও শেয়ারের বাজারমূল্য যথাক্রমে ২৫০ টাকা ও ১৫০ টাকা। কোম্পানি এ বছর সাধারণ শেয়ার মালিকদের প্রতি শেয়ারে ১৫ টাকা লভ্যাংশ প্রদান এবং অতীতে কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত লভ্যাংশ ৫% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অগ্রাধিকার শেয়ারের লভ্যাংশের হার ১৬%। জনাব আলম উক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগের চিন্তা-ভাবনা করছেন।
হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী জনাব তালেব ঢাকার নবাবপুরের নিজস্ব দোকান থেকে হার্ডওয়্যার সামগ্রী পাইকারি ও খুচরা বিক্রি জুলাই ২০১৫ তারিখে মিরপুরের খান ট্রেডার্সের কাছ থেকে টেউটিনের মূল্য বাবদ যথাক্রমে ১,০০,০০০ ও ৩,০০,০০০ টাকার দুটি চেক গ্রহণ করেন। প্রথম চেকটির টাকা নগদে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন কিন্তু দ্বিতীয় চেকটির টাকা ব্যাংক নগদে পরিশোধ না করে তাকে তার ব্যাংক মাধ্যমে উপস্থাপন করতে বলে?
জনাব হারুন ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে সব ধরনের ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, সালোয়ার, কামিজ, শাড়ি, বেড কভার প্রভৃতি পণ্যের সমাবেশ ঘটান এবং লাভবান হন। এ বছরই তিনি। ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য ধানমন্ডিতে আরেকটি দোকান ক্রয়ের নেন। দোকান ক্রয় ও সাজসজ্জার জন্য তার বড় আকারের অর্থের প্রয়োজন যা তার নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
জনাব কায়সার একজন সবজি ব্যবসায়ী। ঢাকার কারওয়ান বাজারে তার দোকান রয়েছে। অধিকাংশ সময় ব্যবসায়ে তিনি নিজস্ব মূলধন ব্যবহার করেন। কখনো মূলধনের ঘাটতি দেখা দিলে তিনি তাঁর একজন নিয়মিত ক্রেতা জনাব শামীমের নিকট থেকে ভবিষ্যতে পণ্য সরবরাহের শর্তে টাকা নেন। এতে তার মূলধনজনিত সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়।
জনাব কিশোর ৬ বছরের জন্য ৭,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে চান। এজন্য তিনি "শান্তা" ও "সম্পা” নামক দুইটি প্রকল্প বিশ্লেষণ করেন। প্রকল্পগুলো থেকে আগামী ৬ বছরে সম্ভাব্য নগদ আন্তঃপ্রবাহের পরিমাণ নিম্নরূপ :
প্রকল্প | বছর-১ | বছর-২ | বছর-৩ | বছর-৪ | বছর-৫ | বছর-৬ |
(টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | (টাকা) | |
শান্তা | ২,৩০,০০০ | ১,৮০,০০০ | ২,০০,০০০ | ১,৯০,০০০ | ১,৫০,০০০ | ১,৩০,০০০ |
সম্পা | ২,৫০,০০০ | ১,৬০,০০০ | ২,১০,০০০ | ২,৩০,০০০ | ২,০০,০০০ | ১,৮০,০০০ |
ক্রিয়েটিভ কোং লিমিটেড সাধারণ শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটি বছর শেষে মুনাফার সম্পূর্ণ অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বণ্টন না করে কিছু অংশ প্রতিষ্ঠানে রেখে দেয়। বর্তমান বছরে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার প্রতি ১৬ টাকা হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করে এবং আগামী বছরগুলোতে এই লভ্যাংশ ৮% হারে বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করে। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য ১৪০ টাকা।
পলাশের মামা রহমান একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। জামালপুর থেকে ঢাকায় এসে পলাশ মতিঝিল শাপলা চত্বরের পাশে অবস্থিত তার মামার অফিসে দেখা করল। তার মামা তাকে বললেন যে, ব্যাংকটি অন্যান্য সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং নতুন ব্যাংক ও শাখা খোলার অনুমতি প্রদান করে। পলাশ লক্ষ্য করে যে, উক্ত ব্যাংকে তার মামা ছাড়াও আরও অনেকে কর্মরত আছেন।
অনন্যা টেলিভিশন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জনাব মাহমুদ "দোয়েল ব্যাংক"-এর ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার ক্রেতাদের সাথে লেনদেন করেন। দেশের প্রতিটি জেলায় “দোয়েল ব্যাংক" নামে ব্যাংক থাকায় ক্রেতাদের পক্ষেও তার সাথে লেনদেন করতে সুবিধা হয়। লেনদেন যথাযথ হওয়ায় তার ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। চীনের একটি কোম্পানির নিকট তিনি টেলিভিশন যন্ত্রাংশ ক্রয়ের প্রস্তাব দিলে উক্ত কৌম্পানি অগ্রিম অর্থ দাবি করে। এ ব্যাপারে সাহায্যের জন্য তিনি দোয়েল ব্যাংকের নিকট যান।
জনাব আজিজ একজন স্কুল শিক্ষক। একদিন বিদ্যালয়ে পাঠদান করার সময় তাঁর শিক্ষার্থী শেয়ারের বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি 'ক' ও 'খ' নামক শেয়ার নিম্নলিখিত দুই ধরনের শেয়ার সম্পর্কে আলোচনা :
শেয়ার 'ক' : এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ থেকে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পাওয়া যায় ।
শেয়ার 'খ' : এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ থেকে প্রচুর আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ ।
প্রাচীনকালে মানুষের চাহিদা ছিল খুব সীমিত। তখন মানুষ একটি দ্রব্য দিয়ে আরেকটি দ্রব্য গ্রহণ করত। পরবর্তীতে উক্ত প্রথার বিভিন্ন সমস্যার কারণে মুদ্রার আবির্ভাব হয়। মুদ্রা প্রচলনের পরপরই ব্যাংক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। মুদ্রা ছাড়া যেমন ব্যাংক চলতে পারে না, তেমনি ব্যাংক ছাড়া মুদ্রার ব্যবহার সীমিত ।
'ক' ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে এবং সে আমানত অন্যান্য ব্যক্তি বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ঋণ হিসেবে প্রদান বর্তমানে একজন ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য এ প্রতিষ্ঠানের নিকট আবেদন করেন। তিনি ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হলেও তার সরবরাহকৃত তথ্যাদি ব্যাংক কর্মকর্তার নিকট সন্দেহজনক মনে হয়।
জনাব রহমান একজন নির্দিষ্ট আয়ের চাকরিজীবী। তিনি তাঁর অর্জিত আয়ের সব টাকা না করে প্রতিমাসে কিছু টাকা সঞ্জয় করেন। তিনি উক্ত অর্থ নিরাপদে জমা রাখার উদ্দেশ্যে একটি ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নেন । ব্যাংক হিসাব খোলার পর সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করার উদ্দেশ্যে তিনি ব্যাংকে হিসাব খোলার বিবেচ্য বিষয়গুলো নিয়েও চিন্তাভাবনা করছেন।
মি. ফারুক ঈদ উপলক্ষে 'ক' থেকে কিছু নতুন টাকার নোট ভুলে আনলে তার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে প্রত্যেকটি মোটের উপর 'খ' ব্যাংকের নাম লেখা কেন তা জনাতে চায় তিনি তার ছেলের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'খ' ব্যাংক হচ্ছে দেশের নোট ও মুদ্রা প্রচলনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত একমাত্র প্রতিষ্ঠান । তাছাড়া এই ব্যাংক তার অধীনস্থ 'ক' ব্যাংকের মতো অন্যান্য ব্যাংকসমূহের ঋণ নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য ব্যাংকিং কার্যাবলিতে সহায়তা করে থাকে।
এম. কম পাস শামীম চাকরির পেছনে না ঘুরে যাবার ৫ একর কৃষি জমিতে বহুমুখী প্রকল্প গড়ে তোলেন। শামীম বীজ, সার, গরু, পোনামাছ ও কিছু খামার সরঞ্জাম কেনার জন্য 'যুব উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ৫ বছর পর তার খামার বড় হলে তিনি 'যুব উন্নয়ন ব্যাংক' এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক ব্যাংক ABL হতেও ঋণ গ্রহণ করে একটি হিমাগার স্থাপন করেন। উক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণের ফলে তাকে কর কম প্রদান করতে হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন উৎস হতে অর্থায়ন করে শামীম সফলকাম হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।
জনাব আলম একজন সুশিক্ষিত সফল বিনিয়োগকারী। নতুন নতুন প্রযুক্তি তিনি সবসময় ব্যবহার করেন। তিনি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা প্রণয়নের সময়ই ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঘটনাসমূহ বিচার-বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আবার পণ্যের বাজার চাহিদা সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণ করে, একাধিক পণ্য ছাড়েন। এভাবে তিনি ঝুঁকি মোকাবিলা করতে সফল হয়েছেন। আলম সাহেবের 'তিস্তা' প্রকল্পে গত পাঁচ বছরে অর্জিত মুনাফার হার ছিল যথাক্রমে ১২%, ১৪%, ৮%, ৭% এবং ৬%।
জনাব সোহাগ যমুনা প্রকল্পে ৫,০০,০০০ টাকা ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন। আগামী ৫ বছর মেশিনগুলো থেকে প্রাপ্য নিট মুনাফা প্রাক্কলন করা হয় যথাক্রমে ১ম বছর ৬০,০০০ টাকা, ২য় বছর ৭০,০০০ টাকা; তৃতীয় বছর ৭৫,০০০ টাকা; ৪র্থ বছর ৮০,০০০ টাকা এবং ৫ম বছর ৮৫,০০০ টাকা জনাব সোহাগ সরলরৈখিক পদ্ধতিতে প্রকল্পটির অবচয় ধার্য করে থাকেন।
"HF" গ্রুপ কোম্পানির সাধারণ শেয়ার মূলধন ২০০ কোটি টাকা ঋণ মূলধন ২০০ কোটি টাকা ও অগ্রাধিকার শেয়ারের মূলধন ১০০ কোটি টাকা। ঋণকৃত মূলধনের সুদের হার ১০% ও অগ্রাধিকার শেয়ারের লভ্যাংশের হার ৮%। শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ারের বাজারমূল্য যথাক্রমে ২৫৫ টাকা ও ১১০ টাকা। কোম্পানি 'এ' বছর সাধারণ শেয়ীরমালিকদের প্রতি শেয়ারে ১৩ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করেছে এবং অতীতে কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত লভ্যাংশ ৪% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। করের হার ৪০%।
দৃশ্যকল্প-১: ABC কোম্পানি তার শেয়ারহোল্ডারদের প্রতিবছর শেয়ারপ্রতি ১০% হারে লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। বর্তমান বছর কোম্পানিটিতে পূর্বের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় অনুপাতে স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
দৃশ্যকল্প-২ : রুপম ও জুয়েল দুজনেই প্রায় একই ধরনের ২টি বড় স্বনামধন্য কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে। রুপমের কোম্পানি জমি জামানত হিসেবে দিয়েছে, কিন্তু জুয়েলের বিনিয়োগে সে ধরনের সুযোগ নেই।
RADB ও IBL ব্যাংক দুইটি যথাক্রমে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের উন্নয়ন ও ধর্মীয় অনুশাসন অনুসারে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত হলেও অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে সেবা প্রদানের মিল আছে। RADB ব্যাংকটি কৃষকদের সুবিধাজনক শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান ও বিভিন্ন পরামর্শ দান করে থাকে। অপরদিকে IBL ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের কিছু বিশেষ পণ্য বা সেবা পাওয়ার সুযোগ দেয়।
'ধরলা ব্যাংক' বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রধান ভূমিকা পালনকারী একটি ব্যাংক। ব্যাংকটি বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় ধরলা ব্যাংক ব্যবসা হতে বিভিন্নভাবে আয় করে থাকে। ব্যাংকটি আমানত গ্রহণ ও সুদ প্রদান, মূলধন গঠনের মাধ্যমে দেশের শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন রকম সেবা প্রদান করে থাকে।
জনাব স্বপন সহকারী শিক্ষক পদে সরকারি স্কুলে যোগদান করার পর জানতে পারলেন তার বেতন ও ভাতা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হবে। তাঁর কোনো ব্যাংক হিসাব না থাকায় তিনি একজন সিনিয়র সহকারী শিক্ষককে সাথে নিয়ে স্থানীয় একটি ব্যাংকে গেলেন। ব্যাংক অফিসার তাকে প্রথমেই গ্রাহক পরিচিতি ফরম পূরণ করতে বলেন। সবশেষে স্বপন সাহেবের হিসাব খোলা হয়ে গেলে, ব্যাংক ম্যানেজার তাকে ১টি প্লাস্টিক কার্ড হাতে দিয়ে বলেন, “গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত ও গতিশীল করতে আধুনিক ব্যাংকিং পণ্যগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।”
আমিনুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পড়াশুনা শেষ করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মকর্তা পদে দিনাজপুরে যোগদান করেন। তিনি স্থানীয় একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে হিসাব খুলে লেনদেন করতে থাকেন। আমিনুল ১ বছরের জন্য বিদেশে উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য যান। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি তাঁর কর্মস্থলে ফিরে আসেন এবং কিছু টাকা ব্যাংকে জমা রাখতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তা তাকে জানান তাঁর হিসাবটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি আবেদনের মাধ্যমে হিসাবটি পুনরায় চালু করে ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।
জনাব সোহেল ও রুবেল দুইজন রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী। জনাব সোহেল ব্যবসায়ের বিগত বছরের আয় ব্যবহার করে রড-সিমেন্টের পাশাপাশি ঢেউটিন ও সিমেন্ট সিটের ব্যবসায় শুরু করেন । অপরদিকে, জনাব রুবেলের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞান ও উপযুক্ত আর্থিক পরিকল্পনার অভাবে তিনি তার ব্যবসায়ের অর্জিত মুনাফার সবটুকু প্রতিষ্ঠানে পুনঃবিনিয়োগ না করে পরিবারের ভোগ-বিলাসী পণ্যদ্রব্য ক্রয়ের জন্য খরচ করেন।
মি. সোহরাব একটি প্রকল্পে ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে চান। তার সামনে 'শাপলা' ও 'পদ্মা' দুটি প্রকল্প রয়েছে। শাপলা প্রকল্প হতে আগামী চার বছরে অবচয় ও করপূর্ব আয় (সম্ভাব্য) যথাক্রমে ১৫ লক্ষ টাকা, ১৮ লক্ষ টাকা, ২০ লক্ষ টাকা ও ২২ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হয়। 'শাপলা' প্রকল্পের পে-ব্যাক সময় ৩.০৯ বছর নির্ধারণ করা হয়। অপরদিকে, 'পদ্মা' প্রকল্প থেকে আগামী চার বছরে যথাক্রমে ১.০৫ লক্ষ টাকা, ১.৭৫ লক্ষ টাকা, ৮.৭৫ লক্ষ টাকা ও ১২.২৫ লক্ষ টাকা কর পরবর্তী নিট মুনাফা পাওয়া যাবে বলে অনুমান করা হয়। উভয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোম্পানির কর হার ৩০% ।
X কোম্পানির মোট মূলধন, ১০০ কোটি টাকা যার মধ্যে ৪০% সাধারণ শেয়ার এবং ৬০% ঋণ মূলধন বিদ্যমান। এক্ষেত্রে কোম্পানির ঋণ মূলধন ব্যয় ১৩% এবং কর হার ৩০%। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ শেয়ার মূলধন ২০% এবং ঋণ মূলধন ৮০% রাখার সিদ্ধান্ত হয়। অপরদিকে, Y কোম্পানির প্রতিটি ৫০০ টাকা মূল্যের ১০ লক্ষ সাধারণ শেয়ার মূলধন রয়েছে। তবে বর্তমানে প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ৭৫০ টাকা। এ কোম্পানিটি গত বছরে শেয়ারপ্রতি ১২% হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ লভ্যাংশের হার প্রতিবছর গড়ে ৫% হারে বৃদ্ধি পায়।
খান অ্যান্ড কোং বিগত কয়েক বছর ধরে শেয়ারপ্রতি ১০ টাকা হারে লভ্যাংশ প্রদান করছিল। কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ প্রতিবছর ওঠানামা করে। বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিবছর মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ লভ্যাংশ হিসেবে প্রদান করার পক্ষে। অনেকে যত দেন। আবার, অনেকে কমপক্ষে ১২% হারে লভ্যাংশ ঠিক রেখে অর্জিত মুনাফা অনুসারে বাড়তি লভ্যাংশ প্রদান করার পক্ষেও মত প্রদান করেন। উক্ত কোম্পানিতে মি. জামান জামানতের বিপরীতে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু সভায় কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি মতামত দিতে পারেন না।
মিসেস ফারিহা সুলতানা একজন সরকারি চাকরিজীবী। তিনি অবসরকালীন সময়ে প্রাপ্ত অর্থ অন্বেষা কোম্পানির বন্ডে ১৫% সুদে পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন। কিন্তু হঠাৎ তার ছেলে আসিফ অসুস্থ হওয়ায় টাকার প্রয়োজন হলে তিনি উক্ত বন্ডটি বাজারে বিক্রয় করতে পারেন নি। পরবর্তীতে মেয়াদপূর্তিতে উক্ত অর্থ হাতে আসলে তিনি 'স্বপ্ন' ও 'আশা' নামক দুটি প্রকল্পে উক্ত অর্থ বিনিয়োগ করতে চান। ‘স্বপ্ন' প্রকল্পের বিগত ছয় বছরের আয়ের হার যথাক্রমে ১০%, ২০%, ৫%, ১৫%, ৮%, ০%। আশা প্রকল্পের ঝুঁকির পরিমাণ ১২.৬২% গড় আয়ের হার ৮%।
রংপুর বিভাগের কৃষি উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে 'গোমতি ব্যাংক' নামে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে উক্ত ব্যাংকটি কৃষকদের সার, বীজ ও কীটনাশক ক্রয়ের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে। পরবর্তীতে ব্যাংকটি সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণকে ঋণদান ও আদায়ে মানুষের আস্থা অর্জন করে। সম্প্রতি শাহীন নামের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাময়িক অর্থ সংকটে পড়লে 'গোমতি ব্যাংক এর নিকট আবেদন করে। ব্যাংক তার আর্থিক অবস্থা ভালোভাবে যাচাই না করে এবং কোনো প্রকার জামানত ছাড়াই বড় অঙ্কের ঋণ প্রদান করে। পরবর্তীতে ঋণের টাকা যথাযথভাবে আদায় করতে পারছে না বিধায় তাঁর সাথে ব্যাংকের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
কুমিল্লা শহরে বর্ণা, অর্ণা ও স্বর্ণা নামে তিনটি ব্যাংকের শাখা রয়েছে। ব্যাংকগুলো প্রতিদিন মক্কেলদের সাথে হাজারো লেনদেন করে থাকে। এক ব্যাংকের চেক, ড্রাফট, পে-অর্ডার অন্য ব্যাংকের নিকট জমা হয়, যাহা অর্পি ব্যাংক বর্ণা, অর্ণা ও স্বর্ণা ব্যাংকের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে তাদের মধ্যকার লেনদেন সম্পাদন করে থাকে। অর্পি ব্যাংক দেশে নতুন নতুন ব্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে বহুলোকের কাজের সুযোগ তৈরি করে দেয়। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ১ ডলার ক্রয় করার জন্য আমাদের দেশের কত টাকার প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করে দেয়।
জনাব আব্দুল করিম একজন ব্যবসায়ী। তিনি বেশিরভাগ লেনদেন 'করতোয়া' মাধ্যমে করেন। আব্দুর রহিম নামক একজন ব্যক্তিকে ব্যবসায়িক কাজে একটি চেক প্রদান করেন। চেকের উপরে বাম কোণে আড়াআড়ি দুইটি রেখা টেনে রেখাদ্বয়ের মধ্যে A/C Payee লিখে দিলেন। তার একজন দেনাদার জনাব মামুন তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকার একটি বান্ডেল দিলেন। পরের দিন উক্ত টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার পূর্বেই তিনি বান্ডেলের ভেতর ৫০০ টাকার দুইটি জাল নোট দেখতে পেলেন। ফলে তিনি নিজের পকেট হতে দুইটি পাঁচশত টাকার উক্ত টাকা ব্যাংকে জমা দিলেন। তিনি ব্যবসায়ের কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য ব্যাংক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে যথাসময়ে পরিশোধ করেন।
জামাল সাহেব একজন চাকরিজীবী। তিনি প্রতিমাসে কিছু অর্থ জমা রাখার উদ্দেশ্যে ১০ বছর পূর্বে তার বাসার কাছের মমতা ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন। ব্যাংকটিতে তিনি দ্রুততম সময়ে সেবা পেয়ে থাকেন এবং একই ব্যাংকে সবধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও পেয়ে থাকেন। কিন্তু বাড়ি নির্মাণের জন্য ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে মমতা ব্যাংকে গেলে তাকে ঋণ প্রদান করা হয়নি। তাই তিনি ঋণের জন্য সমতা ব্যাংকে গেলেন। সমতা ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ দিতে রাজি হলেন। শর্ত হিসেবে উক্ত ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে চেকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অর্থ তুলে খরচ করার পরামর্শ দিলেন।
নিলীমা ব্যাংক লি. একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। ব্যাংকটি জনগণের নিকট থেকে বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে। সম্প্রতি ব্যাংকটি জনাব আদিব নামে একজন ব্যবসায়ীকে কিছু টাকা ঋণ মঞ্জুর করে। উক্ত ঋণের টাকা জনাব আদিব ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে উক্ত হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। তাছাড়া নিলীমা ব্যাংক লি. জনাব আদিবকে বিদেশ থেকে পণ্য ক্রয়ের সময় রপ্তানিকারককে অর্থ প্রদানের বিভিন্ন রকম নিশ্চয়তাপত্র দিয়ে থাকে। ফলে জনাব আদিবের ব্যবসায়িক কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাহিম একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। তিনি ২০ লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে শেয়ার ব্যবসায় শুরু করেন। তিনি সমুদয় অর্থ নিয়ে 'A' কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করেন। কিন্তু হঠাৎ শেয়ারের দরপতন হলে মাহিমের লাভের পরিবর্তে মূলধন হ্রাস পেল। এমতাবস্থায় তিনি একজন বিনিয়োগ পরামর্শদাতার কাছে গেলে মাহিমকে পরবর্তীতে একাধিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।
সম্প্রতি হানিফ সাহেব ব্যবসায় করার উদ্দেশ্যে ব্যাংক থেকে ১০% সুদে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। শর্তমতে তাকে প্রতি ৪ মাস অন্তর সুদ পরিশোধ করতে হবে । হানিফ সাহেবের দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ আছে। X প্রকল্প থেকে আগামী বছরে সম্ভাব্য আয়ের হার যথাক্রমে ২০%, - ১০%, ৫% এবং ২৫%। অন্যদিকে Y প্রকল্পের আগামী ৫ বছরের সম্ভাব্য গড় আয় ১৫% এবং আদর্শ বিচ্যুতি ১৪.২০% ।
ফারহানা লি.-এর মোট মূলধন ১০ লক্ষ টাকা। সাধারণ শেয়ার ব্যয় ১৫%, ঋণপত্রের বায় ১০% এবং অগ্রাধিকার শেয়ারের লভ্যাংশের হার ১০%। মোট মূলধনের বিভিন্ন উৎসের স্তরবিন্যাস নিম্নরূপ-
উৎস | পরিমান (টাকা) |
সাধারণ শেয়ার | ৫,০০,০০০ |
গ্রাধিকার শেয়ার | ৩,০০,০০০ |
ঋণপত্র | ২,০০,০০০ |
প্রতিটি অগ্রাধিকার শেয়ারের লিখিত মূল্য ও বাজারমূল্য যথাক্রমে ১০০ টাকা ও ১২০ টাকা। কোম্পানির করের হার ৩০%।
'ক' ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে স্বল্প হার সুদে অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে এবং সে আমানত অন্যান্য ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে অধিক সুদে ঋণ হিসাবে প্রদান করে। বর্তমান জামাল নামে একজন ব্যবসায়ী উক্ত ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণের আবেদন করেন। তিনি ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম তবে গ্রহণের সময় একজন হিসাবে যে সকল তথ্যাদি দেওয়ার কথা তা দেখে ব্যাংক কর্মকর্তার নিকট সন্দেহজনক মনে হয়।
'স্মৃতি' লিমিটেড একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি নিট মুনাফার কিছু অংশ দ্বারা একটি বিশেষ তহবিল গঠন করে। ব্যবসায়টি আধুনিকায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটি উক্ত তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু বিভিন্ন বছরের লভ্যাংশ প্রদান ভিন্ন হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি সুনাম ধরে রাখতে পারছে না তাই উক্ত প্রতিষ্ঠান মুনাফার কিছু অংশ দ্বারা অন্য একটি তহবিল সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে প্রতিবছর সমহারে লভ্যাংশ প্রদান করতে পারে।
জনাব অসীম ৫ বছর পর ৬,০০,০০০ টাকা পাওয়ার আশায় বার্ষিক ৮% হার সুদে বর্তমানে কিছু টাকা পলাশ ব্যাংকে জমা রাখেন। অপরদিকে তার বন্ধু শরীফ পেনশনের ৫,০০,০০০ টাকা ৫ বছরের জন্য ব্যাংকে জমা রাখতে চাইলে জনাব অসীম তাকে পলাশ ব্যাংকে রাখার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে নির্দিষ্ট সময় পর তিনি ৭,৩৪,৬৬৪.০৪ টাকা পেতে পারেন। কিন্তু শিমুল ব্যাংক তাকে ৭% হার সুদে মাসিক চক্রবৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় ।
জনাব আফরিন 'অগ্নিশিখা লিমিটেড' এবং 'রূপকথা লিমিটেড' নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিতে ১০ লক্ষ টাকা করে বিনিয়োগ করেন। নগদ অর্থের প্রয়োজনে ঝুঁকি বিবেচনা করে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রয় করতে ইচ্ছুক। কিন্তু যুক্তিসংগত মূল্যে তা বিক্রয় করতে পারছেন না। 'রূপকথা লিমিটেডের' শেয়ারের গড় আয় ১০% এবং আদর্শ বিচ্যুতি ৩.৭৮% । 'অগ্নিশিখা লি.' এর বিগত ৫ বছরের আয় হার নিম্নরূপ :
নাম | বছর-১ | বছর-২ | বছর-৩ | বছর-৪ | বছর-৫ |
অগ্নিশিখা লিমিটেড | ১২% | ১৫% | ১০% | ৭% | ৬% |
জনাব বিপুল 'সোহা' ও 'নূহা' নামে দুটি প্রকল্পের যেকোনো একটিতে ১,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে চান। সোহা প্রকল্পের ৫ বছরের প্রাক্কলিত করযোগ্য মুনাফা যথাক্রমে ১৫,০০০ টাকা, ১৮,০০০ টাকা, ১২,০০০ টাকা, ১৪,০০০ টাকা এবং ১০,০০০ টাকা। করহার ১০% এবং বার্ষিক অবচয় ২০,০০০ টাকা। নূহা প্রকল্পের পে-ব্যাক সময় ২.৫ বছর।
'প্রিয়ন্তি লিমিটেড' সাধারণ এবং অগ্রাধিকার শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করে। সাধারণ শেয়ারের বাজারমূল্য ১৪০ টাকা এবং লিখিত মূল্য ১০০ টাকা। কোম্পানিটি সদ্য সমাপ্ত বছরের প্রতিটি সাধারণ শেয়ারে ১৩ টাকা হারে লভ্যাংশ দেয়। অতীত রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোম্পানির লভ্যাংশ গড়ে ৪% হারে বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে প্রতিষ্ঠানটি ১,০০০ টাকা লিখিত মূল্যের ১২ শতাংশ অগ্রাধিকার শেয়ার বিক্রি করেছে। যার বাজারমূল্য ৮১০ টাকা। ব্যবসায় সম্প্রসারণে অর্থ প্রয়োজন হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি কম মূলধন ব্যয়সম্পন্ন আরও কিছু শেয়ার বিক্রয়ের চিন্তা করছে।
সোহেল তার গচ্ছিত অলস টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে চান। এক্ষেত্রে তার বন্ধু কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত বিভিন্ন বিনিয়োগ হাতিয়ারের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা-অসুবিধা সম্বন্ধে তাকে অবহিত করেন। সোহেল বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লাভ কম হলেও লোকসানের তেমন ঝুঁকি নিতে চান না। তাই তিনি জামানত গ্রহণসাপেক্ষে বিনিয়োগ করেন। নির্দিষ্ট সময় পর অধিক লাভবান হওয়ার আশায় তার বিনিয়োগটিকে অন্য একটি বিনিয়োগ খাতে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
জনাব ফারজানা নারায়ণগঞ্জে কম্পিউটার তৈরির কারখানা স্থাপন করেন যার প্রধান অফিস মতিঝিলে। তিনি জাপান থেকে কম্পিউটার ক্রয় করে থাকেন। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ক্রয়ের ক্ষেত্রে 'আদর্শলিপি' ব্যাংক রপ্তানিকারককে জনাব ফারজানার পক্ষ থেকে অগ্রিম অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করে এবং প্রয়োজনে অন্যান্য সুবিধাও দিয়ে থাকে। 'আদর্শলিপি' ব্যাংকের প্রধান অফিস ঢাকার মতিঝিলে হলেও নারায়ণগঞ্জ চট্টগ্রামে তাদের অফিস রয়েছে। ফলে ফারজানার ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পাদনে সমস্যা হয় না।
আনিকার 'ফুলকলি ব্যাংকে একটি হিসাব রয়েছে। ব্যাংক তাকে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য একটি ইলেকট্রনিক কার্ড সরবরাহ করে। কলেজে ভর্তির ফি বাবদ ২,৫০০ টাকার প্রয়োজন হলে সে একটি যন্ত্র হতে তা করে। অপরদিকে তার বান্ধবী। সামিয়ার উক্ত ব্যাংকে হিসাব না থাকলেও ব্যাংক তাকে একটি ইলেকট্রনিক কার্ড ইস্যু করে। ঈদ উপলক্ষ্যে তারা উভয়েই স্ব-স্ব কার্ডের সহায়তায় নগদ টাকা ছাড়াই কেনাকাটা সম্পন্ন করে ।
জনাব তন্ময় ও অন্তিক দুই ভাই তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে ৫০,০০০ টাকা করে পান যা তারা দুটি ভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেন । তন্ময়ের বিনিয়োগ ক্ষেত্র : সরকারি ট্রেজারি বন্ড ক্রয় যা থেকে তিনি বৎসরে ৫,০০০ টাকা করে সুদ পান।
অন্তিকের বিনিয়োগ ক্ষেত্র : ABC কোম্পানি থেকে শেয়ার ক্রয় যা থেকে প্রথম তিন বছরে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ৪,৫০০ টাকা, ৪,০০০ টাকা, ৩,৫০০ টাকা।
জনাব সাত্তার একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে 'অফশোর লিমিটেড' এর শেয়ার ক্রয় করেছেন। 'অফশোর লিমিটেড' এর মতো একটি বিখ্যাত কোম্পানির মালিক পক্ষ হিসেবে তিনি গর্ববোধ করেন। জনাব রাকাও একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা। তিনিও অফশোর লিমিটেড' এর ২ লক্ষ টাকার শেয়ার ক্রয় করেছেন। তিনি নির্দিষ্ট হারে আয় পেলেও জনাব সাত্তারের মতো গর্ববোধ করতে পারেন না।
জনাব জুয়েল ফিন্যান্সের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ না করেই নিজ বাড়িতে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে জুতা তৈরির কারখানা স্থাপন করেন। এতে প্রথম ৩ বছরে চলতি ও স্থায়ী খরচ এবং অবচয় বাদ দেওয়ার পর আয়ের অবস্থা দাঁড়ায় যথাক্রমে ৮,০০০/-, ( 2,500/-), (১,৯০০/-)। ফলে তিনি কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হন। অপরদিকে জনাব মেহেদী তার নিজ এলাকায় ৫,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে শিশু পোশাক তৈরির কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি অনুমান করলেন ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বছরে আয় হতে পারে যথাক্রমে ৮০,০০০/-, ১৫,000/-, ১,৩৫,০০০/- ও ২,০০,০০০ টাকা। জনাব মেহেদী বিনিয়োগকৃত টাকা ৪ বছরের মধ্যেই ফেরত পাবেন বলে অনুমান করছেন।
'নিবেদিতা' কোম্পানির ১০০ টাকা মূল্যের ১০ লক্ষ শেয়ার আছে এবং কোম্পানি প্রতিবছর শেয়ার প্রতি ১৫ টাকা ও ২১ অনুপাতে লভ্যাংশ প্রদান করে। অপরদিকে 'শতাব্দী' কোম্পানি এর ১০ টাকা মূল্যের ১ কোটি শেয়ার আছে এবং কোম্পানি প্রতিবছর শেয়ার প্রতি ১২ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করে। মি. আরমান নিবেদিতা কোং-এর ৭৫০টি শেয়ার ব্রুয় করেছেন।
মি. আজমাইন তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী। তার বিনিয়োগকৃত প্রকল্পের বিগত পাঁচ বছরের গড় আয় ১৪% ৭%। ঈদ পরবর্তী সময়ে সুতা ও কাপড়ের দাম কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে অধিক মুনাফার আশায় এই প্রকল্পে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেন। ভোক্তার রুচি ও পছন্দ পরিবর্তন হওয়ায় তার প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রয় হচ্ছে না। তাই তিনি অপরাজিতা ব্যাংক হতে ঋণ নিয়ে মৎস্য প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন। উত্ত প্রকল্প হতে আগামী পাঁচ বছরের সম্ভাব্য আয়ের হার : ২৫%, ২২%, ২০%, -১৫% ও ১৮%। তিনি সঠিকভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারলেও ব্যাংক সুদ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছেন ।
জনাব সুজন কুয়েতে চাকরি করেন। তিনি প্রতি মাসে তার বেতনের টাকা বাংলাদেশে ভীর নিকট পাঠান। স্ত্রী উক্ত টাকা দিয়ে গ্রামে বিশাল একটি খামার পরিচালনার কাজ শুরু করেন। তিনি উক্ত খামারে হাস-মুরগি, গবাদি পশু পালন করেন। অপরদিকে, জনাব সুমন একটি ফাস্টফুডের ব্যবসায় পরিচালনা করেন। তিনি ব্যবসায়ের একটি ফ্রিজ ক্রয় করেন। ফ্রিজটি কেনার পূর্বে তিনি ভবিষ্যতে বিক্রয় বৃদ্ধির পরিমাণ ও ফ্রিজের খরচ তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন। এছাড়া তিনি দৈনিক বিক্রয়লব্ধ অর্থ থেকে প্রতিদিনের বিভিন্ন খরচ নির্বাহ করেন।
ডেল্টা কোম্পানির মূলধনের শতভাগ সাধারণ শেয়ার দ্বারা গঠিত। মোট মূলধন প্রতিটি ১,০০০ টাকা মূল্যের ৫০.০০০ সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত। বর্তমানে প্রতিটি শেয়ারের বাজার মূল্য ১,৬০০ টাকা। কোম্পানি গত বছর শেয়ারপ্রতি ১৫% হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ লভ্যাংশ বৃদ্ধির হার প্রতিবছর ১০% । মিতালি কোম্পানির বর্তমান মূলধন কাঠামোয় যায়, প্রতিটি ১,০০০ টাকা মূল্যের ১,০০০ সাধারণ শেয়ার, প্রতিটি ১,০০০ টাকা মূল্যের ১,০০০ অগ্রাধিকার শেয়ার এবং ১২% ঋণ মূলধন ৮০ লক্ষ টাকা। প্রতিটি সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ারের বাজারমূল্য যথাক্রমে ১,৬০০ টাকা ও ১,২৫০ টাকা। শেয়ারপ্রতি লভ্যাংশের হার সাধারণ ও অগ্রাধিকার শেয়ারের ৮%। কোম্পানির সাধারণ শেয়ার মূলধন বারা ৬.২৫%, গড় মূলধনি ব্যয় ৭.৫% এবং কর হার ৩৫%। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ নতুন মূলধন কাঠামো হিসেবে সাধারণ শেয়ার মূলধন ৮০%, অগ্রাধিকার শেয়ার মূলধন ১০% এবং ঋণ মূলধন ১০% রাখার প্রস্তাব দেয়।
জনাব পাবেল প্রীতি কোম্পানির একজন শেয়ারহোল্ডার। এই কোম্পানি প্রতিবছর শেয়ারহোল্ডারদের এমনভাবে লভ্যাংশ প্রদান করে, যার ফলে কোম্পানির কোনো অর্থ ব্যয় হয় না। এমনকি শেয়ারহোল্ডারগণও নগদে লাভবান হয় না। তবে কোম্পানির শেয়ার মূলধন বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে প্রীতি কোম্পানির শেয়ারের দরপতন ঘটতে থাকে। ফলে প্রীতি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে জনাব পাবেল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। উক্ত অর্থ জনাব পাবেল ইতি কোম্পানির এমন বিনিয়োগ হাতিয়ারে করতে চান যা থেকে তিনি নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট আয় পেতে পারেন। তবে তিনি ইতি কোম্পানিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত প্রদানে রাজি নন। এছাড়া সব ধরনের পাওনাদারের দাবির আগে নিজের পাওনার দাবি রাখেন।
এমবিএ পাস করে কয়েকজন বন্ধু একত্রিত হয়ে নিজেদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করে 'জাগরণ লি.' নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ধীরে ধীরে কোম্পানির কার্যক্ষেত্রের প্রসার ঘটায় বড় অঙ্কের মূলধন প্রয়োজন হয়। এক কোটি টাকা ঋণের জন্য 'সুরমা ব্যাংকের' নিকট গেলে ব্যাংক কোম্পানির সম্পদের দলিলপত্র জমা রাখতে বললেন। জমা রাখার মতো কোম্পানির কোনো দলিলপত্র না থাকায় ঋণ নিতে কোনো উপায় না পেয়ে জনসাধারণের নিকট শেয়ার বিক্রি করে এক কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেন।
জনাব শফিক মিতালি ব্যাংক' থেকে বার্ষিক ১০% সুদে মাসিক চক্রবৃদ্ধিতে ৩ বছরের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন। তিনি এ অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য চারটি প্রকল্প বিবেচনা করছেন। প্রকল্প চারটিতে বিনিয়োগের পরিমাণ যথাক্রমে ক-প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকা, খ-প্রকল্পে ২০ লক্ষ টাকা, গ-প্রকল্পে ২০ লক্ষ টাকা এবং ঘ-প্রকল্পে ৪০ লক্ষ টাকা । ক. খ ও গ প্রকল্প তিনটির পে-ব্যাক সময় যথাক্রমে ৩ বছর, ৪.৫ বছর ও ৪ বছর। ঘ- প্রকল্পের বার্ষিক অবচয় ৫ লক্ষ টাকা এবং আগামী চার বছরের সম্ভাব্য লাভ যথাক্রমে- ৪ লক্ষ টাকা, ১০ লক্ষ টাকা, ১৩ লক্ষ টাকা এবং ১৫ লক্ষ টাকা। তিনি প্রকল্পগুলোর পে-ব্যাক সময় বিবেচনা করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন।
কুমিল্লা ঝিনুক ব্যাংক'-এর মনোহরপুর শাখায় জনাব সায়মনের একটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। প্রতিমাসে প্রবাসী ছেলের পাঠানো টাকা তার ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। সংসারের খরচ মেটানোর পর অবশিষ্ট টাকা ব্যাংক হিসাবে থেকে যায়। এভাবে টাকা জমতে জমতে গত দশ বছরে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা তার ব্যাংক হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকে। একজন ব্যাংক কর্মকর্তার পরামর্শে মি. সায়মন ১৮ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে অপর একটি হিসাবে আগামী ১০ বছরের জন্য জমা রাখেন। তিনি মেয়াদ শেষে উক্ত হিসাব থেকে ১৪% হারে সুদসহ সমুদয় টাকা ফেরত পাবেন।
M, N, OR নামে খুলনা বিভাগে চারটি ব্যাংক রয়েছে। বাজারে ব্যাংকগুলোর সুনাম দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে, ফলে গ্রাহকদের লেনদেনের পরিমাণও কম হচ্ছে। সম্প্রতি M ব্যাংকের গ্রাহক মিসেস রহিমা সৌদি আরবে যাওয়ার সময় তার অলংকার এবং সম্পত্তির দলিল ব্যাংকে রেখে যায়। সে সৌদি আরব থেকে তার হিসাবে প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা করে জমা করে। প্রায় দুই বছর পর মিসেস রহিমার ভাই জনাব লতিফ M ব্যাংকে রহিমার কত টাকা আছে জানতে চাইলে ব্যাংক অফিসার জনাব ইউসুফ তাকে সেটি বলে দেয়। ফলে রহিমা M ব্যাংকের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তার হিসাব বন্ধ করে দেয় এবং অন্য একটি ব্যাংকে তার সব টাকা জমা করে। এমতাবস্থায়, M. N, Q ও R ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিল একই ব্যবস্থাপনায় পুনরায় ভালোভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করবে। যেখানে ব্যাংকগুলো একে অপরকে সহযোগিতা করবে এবং নিজস্ব নামেই ব্যাংক পরিচালনা করবে।
স্বপ্নীল ব্যাংক একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। বাজারে দুর্গাপুজার পূর্বমুহূর্তে ক্রেতাদের নিকট তৈরি পোশাকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকটি পোশাক ব্যবসায়ীদেরকে বিপুল পরিমাণে ঋণ দিয়েছে। ফলে ব্যাংকটি তারল্য সংকটে পড়ে। স্বপ্নীল ব্যাংক বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট অর্থ চেয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে অন্বেষা ব্যাংক থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। অন্বেষা ব্যাংক স্বপ্নীল ব্যাংকের পাশে এসে দাঁড়ায় এবং বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে। এক পর্যায়ে ব্যাংকটিতে প্রয়োজনীয় প্রশাসক নিয়োগপূর্বক উন্নয়নের দায়িত্বভার গ্রহণ করে। এতে ধীরে ধীরে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থার অগ্রগতি ঘটে।
নিলীমা ব্যাংক লি. একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। ব্যাংকটি জনগণের নিকট থেকে বিভিন্ন। হিসাবের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে। সম্প্রতি ব্যাংকটি জনাব আদিব নামে একজন ব্যবসায়ীকে কিছু টাকা ঋণ মঞ্জুর করে। উক্ত ঋণের টাকা জনাব আদিব ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে উক্ত হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। তাছাড়া 'নিলীমা ব্যাংক লিমিটেড জনাব আদিবকে বিদেশ থেকে পণ্য ক্রয়ের সময় রপ্তানিকারককে অর্থ প্রদানের বিভিন্ন রকম নিশ্চয়তাপত্র দিয়ে থাকে। ফলে জনাব আদিবের ব্যবসায়িক কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জনাব কবির ঢাকা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। তিনি ফ্ল্যাটের দলিল 'তৃপ্তি ব্যাংক লি.' এর নিকট জমা রেখে ১০,০০,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে ফার্নিচার ব্যবসায় শুরু করেন। তিনি ফার্নিচার তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে ক্রয় করে থাকেন। হঠাৎ একটি দুর্ঘটনায় জনাব কবির মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারছেন না। সম্প্রতি জনাব সাইফুলের নিকট থেকে কাঠ ক্রয় বাবদ ২,০০,০০০ টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারেননি। ফলে জনাব সাইফুল তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত 'তৃপ্তি ব্যাংক লি.' কে জনাব কবিরের সকল ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধ করে দিতে। বলে। এতে জনাব কবিরের সাথে তুপ্তি ব্যাংক লি. এর কার্যক্রমের পরিসমাপ্তি ঘটে।
জনাব বাবুল যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির কথা চিন্তা করে ধান বিক্রির পাশাপাশি চাল ও মাছ বিক্রির ব্যবসায় চালু করেন। সম্প্রতি চালের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি সব জমানো টাকা দিয়ে চাল ক্রয় করে গুদামে জমা রাখেন। এই কারণে তিনি গত মাসে কর্মচারীদের বেতন দিতে পারেননি। তিনি আশা করেছিলেন চাল বিক্রি করে সামনের মাসে সব বেতন পরিশোধ করবেন। কিন্তু সম্প্রতি চালের মূল্য কমে যাওয়ায় বেতন প্রদানে তিনি চিন্তায় পড়েন।
চাকমা মূলধন বাজেটিং-এর অধিক গ্রহণযোগ্য পদ্ধতির মাধ্যমে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রকল্পের মেয়াদ ৩ বছর। প্রাথমিক বিনিয়োগ ৬ লক্ষ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আগামী ৩ বছরের বিক্রয় যথাক্রমে ৪ লক্ষ, ৭ লক্ষ ও ৬ লক্ষ টাকা। প্রতি বছর কাঁচামাল ব্যয় ৩৫,০০০ টাকা, শ্রমিকের মজুরি ৬০,০০০ টাকা এবং কারখানা ব্যয় ৫৫,০০০ টাকা। কর হার ৩০%।
অহনা গার্মেন্টসের মালিক রাসেল আহম্মেদ প্রতিবছর যে পরিমাণ মুনাফা অর্জন করেন তার একটি অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বণ্টন না করে সংরক্ষণ ব্যবসায় সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তার প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তার নিজস্ব মূলধন না থাকায় ব্যবসায় সম্প্রসারণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শরণাপন্ন হন।
শাওন ও রবিন স্কয়ার' কোম্পানির মালিক। রবিন তার মুনাফার অংশ নিশ্চিত নয় জেনেও কোম্পানির সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। শাওনের মুনাফার অংশ নিশ্চিত। কোম্পানির বার্ষিক সভায় নতুন একটি ব্যবসায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয়। বাজারে ঋণপ্রাপ্তি অপ্রতুল কিন্তু এ বছর 'স্কয়ার' কোম্পানি প্রচুর লাভ করেছে যা গত তুলনায় তিনগুণ। সাধারণ সভায় কেউ কেউ লাভের কথা বলেন আবার কেউ কেউ কোম্পানির সুনামের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন । তাদের মতে মুনাফার পরিমাণ হঠাৎ করে হ্রাস করা ঠিক হবে না ।
আবুল হোসেন এবি ব্যাংকে হিসাব খোলার সময় নমুনা স্বাক্ষর কার্ডে পুরোনাম বাংলায় স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীতে চেক প্রস্তুতের সময় ইংরেজিতে সংক্ষেপে স্বাক্ষর করেন। ব্যাংক আবুল হোসেনের প্রস্তুতকৃত একটি চেকের অর্থ তার পাওনাদার মি. রফিককে পরিশোধ করেননি। মি. রফিক ব্যাংকের কাছে চেকের অর্থ পরিশোধ না করার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকার এ তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন।
যশোরের রাজার হাট এলাকায় কোনো ব্যাংক না থাকায় নগদ অর্থের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলে 'X' ব্যাংক 'Y' ব্যাংক নামে একটি ব্যাংক চালু করে। 'Y' ব্যাংক 'X' ব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই 'Y' সাথে 'X' ব্যাংকের কিছু সম্পর্ক বিদ্যমান। 'X' ব্যাংক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারকে সহায়তা প্রদান করে।
জনাব মামুন একজন চাকরিজীবী। তার ইচ্ছা প্রতি মাসের বেতন হতে নির্দিষ্ট সময়ে এক হাজার টাকা জমিয়ে ৫ বছর পর গ্রামের বাড়িতে একখন্ড জমি কিনবেন। বেতনের টাকা থেকে মাসের বাজার, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল ও খরচ নির্বাহ করেন। মাঝে মাঝেই বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে তাকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যা খুবই বিরক্তির ও সময়সাপেক্ষ। নগদ টাকা রাখার ক্ষেত্রে তিনি খুবই শঙ্কায় থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়ের কাছে টাকা পাঠানোর জন্য তাকে মাসে একবার পোস্ট অফিসে যেতে হয়।
'আশা' ব্যাংক শুরু থেকেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাণিজ্যিক ব্যাংক যে সকল কাজ করে, 'আশা' ব্যাংক সে রকম কাজ করে। ব্যাংক জনগণের সঞ্চিত অর্থ গ্রহণ করে ভিন্ন ভিন্ন খাতে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে। 'আশা' ব্যাংক মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে সুনাম অর্জন করে।
মুরাদ এন্টারপ্রাইজ একটি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। ঢাকার সাগর ব্রাদার্সের নিকট ৫০০টি শার্ট প্রেরণ করতে হবে। এজন্য কাপড় ক্রয়ের যাবতীয় অর্থ সাগর ব্রাদার্সের নিকট হতে সংগ্রহ করেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রয়োজনে ৫ বছরের জন্য একটি মিনি ট্রাক লাগবে যার মূল্য ১০,০০,০০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ভাড়া প্রদানের বিনিময়ে ট্রাকটি সংগ্রহ করলেন।
ব্যবসায়ী সুমন সাহেব নতুন ডিজাইনের জুতা উৎপাদনের লক্ষ্যে ৪ বছরের জন্য ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন। যা হতে বিক্রয় হতে পারে যথাক্রমে ২ লক্ষ, ৫ লক্ষ, ৩ লক্ষ ও ৭ লক্ষ টাকা। যার চলতি খরচ বিক্রয়ের ২০% ও স্থায়ী খরচ ২ লক্ষ টাকা, কর হার ৩০% এবং অবচয় ২০,০০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির আদর্শ গড় মুনাফার হার ২০% ।
রাব্বানী সাহেব একটি ব্যাংক হতে ষান্মাসিক ৫% হারে ৮ বছরের জন্য ৫,০০,০০০ টাকা সংগ্রহ করেন। তিনি উক্ত টাকা "সুরমা ব্যাংক" এ ৮ বছরের জন্য ৯.৫% মাসিক চক্রবৃদ্ধিতে রাখতে চাচ্ছেন। অন্যদিকে তার স্ত্রী পরামর্শ দিলেন যে, উক্ত টাকায় একটি পুকুর কিনলে একই সময়ে তার মূল্য দ্বিগুণ হবে। এছাড়াও পুকুর থেকে মাছ চাষ করে প্রতিবছর তার আরও ১ লক্ষ টাকা আয় হবে।
জনাব শিমুল নিজ মূলধন ও চাচার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ক্রেতাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে সকল বয়সের ক্রেতাদের জন্য পোশাক, কসমেটিকস, খেলনা, ব্যাগ, জুতা ইত্যাদি বিক্রয়ের দোকান দেন। বিক্রয় হতে প্রাপ্ত ৫ হাজার টাকা তিনি ব্যাংকে জমা রাখেন। ফলে এ মাসে তিনি দুইজন কর্মচারীর বেতন পরিশোধ করতে পারেননি। এছাড়া বিদ্যুৎ অফিস তার দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চাকরিজীবী মিসেস সাবরিনা অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য শেয়ার বাজারে দুটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। টিউলিপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে তিনি গত তিন বছরে ৫%, ১০%, ৩% হারে লভ্যাংশ পান। এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি মতামত দেন। অন্যদিকে 'অর্কিড' কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় তাকে ডাকা হয়নি এবং কোম্পানি এ বছর অধিক মুনাফা করলেও তাকে গত বছরের মতো ৫% হারেই সুদ দেয়। সম্প্রতি সাবরিনার টাকার প্রয়োজন হলে তিনি 'টিউলিপ' কোম্পানির বিনিয়োগটি নগদায়ন করেন।
স্টার কোম্পানি লিমিটেড মূলধনের ২০% সাধারণ শেয়ার, ৪০% ডিবেঞ্চার এবং ৪০% বড় থেকে অর্থায়ন করেন। সংগৃহীত অর্থ কোম্পানিটির দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, তিনি প্রকল্প 'জুপিটার' থেকে আগামী ৫ বছরে আয় করতে পারবেন যথাক্রমে ৮%, ১০%, -৭%, ০% ও ৯%। প্রকল্প আয় বিশ্লেষণ করে আদর্শ বিচ্যুতি পেয়েছেন ১১%।
রাতুল তার পরিবারকে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় পেনিনসুলায় খেতে গেলেন। খাওয়ার তিনি একটি ইলেকট্রনিক পণ্যের মাধ্যম দিলেন এবং মাস শেষে বিলে অর্ধ পরিশোধ করেন। রাতুল সাহেবের ব্যবসায়ের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের পাশেই 'ক' নামক ব্যাংকে একটি নতুন হিসাব খুলতে চাচ্ছেন। ব্যাংকটি অন্য ব্যবসায়ীদের নিকট খুবই পরিচিত। তার আগের ব্যাংক থেকে এখানে তিনি বেশি সুবিধাও পাবেন । তিনি দেশের যেকোনো প্রান্তে গিয়ে। এই ব্যাংকের সাথে লেনদেন করতে পারবেন এবং এই ব্যাংকে সেবার খরচও কম।
রতনপুর এলাকায় কোনো ব্যাংক না থাকায় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রে এলাকার কিছু ব্যবসায়ী ক' ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেন। 'ক' ব্যাংক এ বছর দেশের বাজেট প্রণয়নে এবং বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করে। গত মাসে ব্যাংকটি ১০ হাজার মার্কিন ডলার সংরক্ষণ করে।
দুই বন্ধু পাভেল ও রুমেল একই এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করেন। পাভেল অধিক আশায় গোলাপ ব্যাংকে অর্থ জমা রাখেন। তাদের কাঁচামাল কেনার জন্য তাৎক্ষণিক নগদ টাকার প্রয়োজন হলে পাভেল ব্যাংক হতে টাকা তুলতে পারেননি। কিন্তু রুমেল খুব সহজে তা পেরেছেন। তাছাড়া রুমেলের হিসাবে ৫০ হাজার টাকা থাকলেও ব্যবসায়ের প্রয়োজনে তিনি ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।
তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী রিফাত কোরিয়ার সানবিম কোম্পানি হতে কিছু যন্ত্রপাতি কেনার নেন। এই জন্য 'রূপসা ব্যাংক সানবিম কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয়। অপরদিকে রাহাত নামক একজন গ্রাহক উক্ত ব্যাংকের কাছে ঋণের আবেদন করলে প্রয়োজনীয় দলিল ঠিক না থাকায়। ব্যাংকটি ঋণদানে অসম্মতি জানায়। তাছাড়া 'রূপসা' ব্যাংক দুইজন গ্রাহকের চেকের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয় ।
ওয়াসফিয়া কোং লি. একটি বিখ্যাত ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রি করে ২০,০০,০০০ টাকা মূলধন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম করে। ভবিষ্যতে ঔষধের মূল্য হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আছে বিধায় প্রতিষ্ঠানটি ঔষধ শিল্পের পাশাপাশি ভোগ্যপণ্য, টেক্সটাইল এবং স্টিল ইত্যাদি ক্ষেত্রে মূলধন বিনিয়োগ করে। প্রতিষ্ঠানটি দৈনিক বিক্রয়লব্ধ অর্থ বেশি লাভের আশায় সমতা ব্যাংকে ১৪% সুদের হারে জমা রাখে। ফলে কাঁচামাল ক্রয়, শ্রমিকের মজুরি এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে হিমশিম খেতে হয়।
জনাব হাবিবা তিতাস ব্যাংক থেকে ৫,০০,০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করে মা বস্ত্রালয়' নামে একটি ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিতাস ব্যাংক এক পর্যায়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করে। অপরদিকে হাবিবার বড় ভাই জনাব হাবিবুল্লাহ শাপলা ও গোমতি প্রকল্পের যেকোনো বিনিয়োগ করতে চান। শাপলা প্রকল্পের সম্ভাব্য ৫ বছরের আয় যথাক্রমে ১৫%, ১০%, -৭%, ১৮% ও ২০%। অপরদিকে গোমতি প্রকল্পের গড় আয় ১১.২% ও আদর্শ বিচ্যুতি ১৪.৮%।
ABC কোম্পানির হাতে দুটি প্রকল্প রয়েছে। প্রত্যেক প্রকল্পের প্রাথমিক বিনিয়োগ ৬০,০০০ টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বছর। জুঁই প্রকল্প থেকে আগামী ৪ বছরের প্রাক্কলিত আয় যথাক্রমে ৪০,০০০ টাকা, ৬০,০০০ টাকা, ৫০,০০০ টাকা ও ৮০,০০০ টাকা। চলতি খরচ আয়ের ২০%, স্থায়ী খরচ ৫,০০০ টাকা এবং কর অপরদিকে, বেলি প্রকল্পের কর পরবর্তী মুনাফা ৪,০০০ টাকা, ৫,০০০ টাকা, ৮,০০০ টাকা ও ৬,০০০ টাকা। বেলি প্রকল্পের গড় মুনাফার হার ১৯.১৭% ।
আমিন স্টিল ফার্নিচার ফ্যাক্টরি একটি নতুন শো-রুম চালু করতে ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। ফ্যাক্টরির মালিক একটি ব্যাংকে যোগাযোগ করেন। উক্ত ব্যাংক থেকে তাকে নিম্নোক্ত দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয় :
i. ১৩% হার সুদে ৫ বছর মেয়াদি ভোক্তা ঋণ ।
ii. বার্ষিক ১০% হার সুদে ১০ বছর বন্ধকি ঋণ ।
মালিক কারখানার দলিল জামানত রেখে দ্বিতীয় প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং অর্থ সংগ্রহ করেন।
জনাব সাজিদ সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রাপ্ত ২০ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৫ লক্ষ টাকা তিনি সনি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। কোম্পানিটি লভ্যাংশ প্রদান করে যাতে কোম্পানির নগদ অর্থ ব্যয় না হয়ে মূলধন বৃদ্ধি পায় এবং শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। জনাব সাজিদ বাকি ৫ লক্ষ টাকা খাতে বিনিয়োগ করতে চান, যাতে আয় কম হলেও তা যেন ঝুঁকিমুক্ত হয়। তার নিকট দুটি কোম্পানির বিনিয়োগ হাতিয়ার রয়েছে। পদ্মা লি. জনাব সাজিদকে তাদের বিনিয়োগ হাতিয়ারে বিনিয়োগ করলে জামানত দিবে এবং অন্যান্য পাওনাদারদের পূর্বে নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে জবা লি. কোনো ধরনের জামানত প্রদান ছাড়াই নির্দিষ্ট হারে সুদ দিবে এবং কোম্পানির অবসায়নকালে অন্যান্য পাওনাদারের দাবি পরিশোধের পরে তার দাবি পরিশোধের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু জনাব সাজিদ ভবিষ্যতে কেম্পানির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজস্ব মতামত দিতে চান ।
মুন কোম্পানির একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণের জন্য ২০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। তাদের ২২ লক্ষ টাকা বার্ষিক ১০% হার সুদে সঞ্চিতি তহবিল হিসেবে ব্যাংকে জমা আছে। ব্যাংক হতে উক্ত টাকা উত্তোলন করে নতুন প্রকল্পটি গ্রহণ করা যেত। কিন্তু কোম্পানি বার্ষিক ১৩% হার সুদের ৫ বছর মেয়াদে ২০ লক্ষ টাকা ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে প্রকল্পটি চালু করে। মুন কোম্পানির কর হার ৩০%। বর্তমান বছরে কোম্পানি শেয়ারপ্রতি ১২ টাকা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করে। প্রতিবছর লভ্যাংশ প্রদানের বৃদ্ধির হার ৮%। সাধারণ শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য ১৪০ টাকা।
পাঁচ বন্ধু একত্রিত হয়ে কুমিল্লায় B নামে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা B ব্যাংকটি A ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে গঠিত হয়। A ব্যাংক B ব্যাংকসহ দেশের অন্যান্য ব্যাংকসমূহকে ব্যাংকিং কার্যক্রমে সহযোগিতা ও নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরামর্শ দিয়ে থাকে। B ব্যাংকের প্রত্যেক সদস্য একে অপরের দায়-দেনা বহন করতে বাধ্য থাকে।
জুবায়ের একজন চাকরিজীবী। তিনি শহরে থাকেন। এলাকায় কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকগুলোতে সব ধরনের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো স্বীকৃতি না থাকায় তিনি বাসা থেকে অনেক দূরে গিয়ে সুগন্ধা' নামক ব্যাংকে হিসাব খোলেন। ব্যাংকটিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। জুবায়ের বাসায় বা অফিসে বসেই ব্যাংক লেনদেনের তথ্য জানতে পারেন। উক্ত ব্যাংক থেকে তিনি জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে টাকা উঠাতে পারেন। ফলে ব্যাংকটির সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়।
সরকারের সব ধরনের রাজস্ব যেমন : আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক ইত্যাদি আদায় হওয়ার পর D ব্যাংক জমা রাখে। সরকার D ব্যাংক থেকে অর্থ নিয়ে বিভিন্ন খাতে ব্যয় করে। C ব্যাংক আর্থিক সংকটে পড়লে অন্য কোনো ব্যাংকে অর্থ না পেয়ে D ব্যাংকের কাছে গেল। C ব্যাংকের আমানতের একটা অংশ D ব্যাংকের নিকট জমা থাকায় D ব্যাংক প্রয়োজনীয় অর্থ C ব্যাংককে দিল।
জনাব জামাল উদ্দীন একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি ২০০৮ সালে মিতালি ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত ব্যাংকে টাকা জমা দিচ্ছেন এবং উত্তোলন করছেন। ২০১০ সালে তিনি বাড়ি নির্মাণের সময় জমির দলিল বন্ধক রেখে মিতালি ব্যাংক হতে ৬০ লক্ষ টাকা ৫ বছরে পরিশোধের শর্তে ঋণ গ্রহণ করেন। জনাব জামাল উদ্দীপনের অবহেলার কারণে মিতালি ব্যাংক আদালতের মাধ্যমে বাড়ির মালিকানা লাভ করেন ।
জনাব আহসান গোমতি ব্যাংক লি.-এর একজন গ্রাহক। ব্যাংকটি ২০০৫ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৮২টি শাখা খোলার মাধ্যমে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জনাব আহসান তার বেশির ভাগ ব্যাংকিং কার্যক্রম চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় করে তাকে চট্টগ্রাম শাখা ৯% সুদের হারে ৫ লক্ষ টাকা ৩ বছরের জন্য প্রদান করে। তিনি যখন রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতে লেনদেন করেন ব্যাংক তখন। নগদ টাকার পরিবর্তে চেক, ব্যাংক ড্রাফ্ট ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করে। আবার চীন থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রত্যয়পত্র ব্যবহার করেন। ফলে জনাব আহসানের ব্যবসায়িক কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইলেকট্রিক সামগ্রী বিক্রেতা জনাব নাসির উদ্দিন সম্প্রতি ব্যবসায় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য তিনি রূপসা কোম্পানি থেকে ১,৫০০টি সিলিং ফ্যান ধারে ক্রয় করেন এবং তার বন্ধু রূপকের কাজ থেকে ৪ মাসের জন্য ঋণ নিয়ে আরেকটি শো-রুম স্থাপন করেছেন। কিন্তু বন্ধু ৪ মাস পর ঋণের টাকা ফেরত চাইলে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন।
মধুমতি কোম্পানি লি.-এর মূলধন কাঠামো নিম্নরূপ :
সাধারণ শেয়ার ২০,০০,০০০ টাকা
১০% অগ্রাধিকার শেয়ার ৫,০০,০০০ টাকা
১৪% ঋণপত্র ১৫,০০,০০০ টাকা
কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ২০০ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ার ২০ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করছে যা ভবিষ্যতে ৫% হারে বৃদ্ধি পাবে, কর হার ৩০% । প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গড় মূলধন ব্যয় ১০% হবে বলে ধার্য করেছেন।
রূপসা ব্যাংক বৈধ অনুমোদন নিয়ে ২০১৫ সালে গঠিত হয়। এ ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে সময় সংগ্রহ ও রূপদানে নিয়োজিত। ব্যবসায়ী জনাব মোস্তফা তার ব্যবসায় কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের জন্য রূপসা ব্যাংকের কাছে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ব্যাংক তার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য চাইলে তিনি তার ব্যবসায়ের সুনাম, সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা, উৎপাদনশীলতা ও লাভজনকতার তথ্য পেশ করেন। রূপসা ব্যাংক এ তথ্যগুলো যাচাই-বাচাই করে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে ঋণ মঞ্জুর করে।
কলেজ শিক্ষিকা জনাব হালিমা আক্তার বর্তমান সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তার গহনাসমূহ ও মূল্যবান দলিলপত্র নিয়ে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ কামনা করেন। সেখানে তাকে যে পরামর্শ দেয় তা তিনি গ্রহণ করেন। তিনি ফ্লাট ক্রয়ের জন্য নগদ অর্থ নিয়ে বসুন্ধরা যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। ফলে তিনি তার নগদ অর্থ ছিনতাইয়ের শিকার হন।
জনাব সজীব একজন ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় যথাসময়ে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল পরিশোধে সমস্যায় পড়েন। লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে জনাব 'ক' ব্যাংক উক্ত বিলগুলো নিয়মিতভাবে পরিশোধ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ‘ক’ ব্যাংক জনাব সজীবকে নিয়মিত ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। অপরদিকে সজীবের দুটি চেকের টাকা ঐ ব্যাংক যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারেনি। বিষয়গুলো নিয়ে তিনি ব্যাংকের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন ।
'A' ও 'B' দুটি ব্যাংক। B ব্যাংক বিভিন্ন বিষয়ে 'A' ব্যাংকের মতো অন্যান্য ব্যাংকসমূহকে উপদেশ ও পরামর্শ থাকে। সম্প্রতি A ব্যাংকটি গ্রাহক সংকটের সম্মুখীন হয়। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় তাদের ব্যাংকের গ্রাহকদের বিভিন্ন তথ্য ফাঁসের এবং চেকের টাকা চাহিদামাত্র পরিশোধে ব্যর্থতার খবর প্রকাশিত হয়। A ব্যাংক এ বিষয়ে B ব্যাংকের পরামর্শ চাইলে নিচের তিনটি পরামর্শ পায় :
i. গ্রাহকের ব্যক্তিগত যেকোনো তথ্য প্রকাশে অধিকতর সতর্কতা ও কঠোরতা অবলম্বন।
ii. গ্রাহকের নিরাপত্তার স্বার্থে বিধিবদ্ধ রিজার্ভ বৃদ্ধিকরণ।
iii. পর্যাপ্ত নগদ অর্থ সংরক্ষণ।
এক্স কোম্পানির ঋণকৃত মূলধন ১,০০,০০০ টাকা ও সাধারণ শেয়ার মূলধন ১,৪০,০০০ টাকা। ঋণকৃত মূলধনের সুদের হার ১৫%। কর হার ৩০%। সাধারণ শেয়ারের বাজার দর ২০০ টাকা। কোম্পানি এ বছর সাধারণ শেয়ার মালিকদের শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করেছে এবং অতীতে কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত লভ্যাংশ ৫% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আব্দুল বাসেত তার গ্রামের হাটে একটি ব্যাংকের শাখা দেখে ছোট ভাইকে প্রশ্ন করল এ গ্রাম্য বাজারে ব্যাংকের কী প্রয়োজন? উত্তরে ছোট ভাই বললেন সরকারের এই ব্যাংক স্থাপনের ফলে গ্রামে বসবাসরত মানুষকে শহরে যেতে হচ্ছে না। তারা কৃষি কাজসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাংকের সহযোগিতা পাচ্ছে। ক্ষপ নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
'আরাধ্যা এন্টারপ্রাইজ' তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পে ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করল। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে উক্ত প্রকল্প থেকে বিক্রয় বাবদ আগামী তিন বছরে যথাক্রমে ১২ লক্ষ, ১৩ লক্ষ ও ১৫ লক্ষ টাকা অর্জিত হবে। উক্ত প্রকল্পে প্রতিবছর চলতি খরচ বাবদ ব্যয় হবে ৪০%। এছাড়া স্থায়ী খরচ প্রতিবছর ৩ লক্ষ টাকা, অবচয় ২ লক্ষ টাকা এবং কর ৩০% অনুমান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ঝুঁকি হ্রাসের চিন্তা করে বাজারে নতুন পণ্য ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মিসেস রুবিনা সম্প্রতি যমুনা ব্যাংকে একটি হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নেন। তার ইচ্ছা এ হিসাবে মেয়ের বৃত্তির টাকা এবং সংসার খরচ থেকে বাঁচানো উদ্বৃত্ত টাকা জমা রাখবেন। রুবিনার বান্ধবী সীমার ভাই সৌদি আরবে থাকেন। সম্প্রতি সীমা ঢাকায় রুবিনার বাসায় বেড়াতে এসে জানতে পারেন যে, ভাই সোনালী ব্যাংকে যশোর শাখায় সীমার হিসাবে কিছু টাকা পাঠিয়েছে। সীমা, ঢাকার সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ঐ টাকা উত্তোলন করতে চাইলে ব্যাংক অপারগতা প্রকাশ করে। অথচ তার নগদ টাকার প্রয়োজন ছিল।
রবিন এন্টারপ্রাইজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫০,০০,০০০ টাকার একটি মেশিন চীনের চুংওয়া কোম্পানি থেকে ক্রয় করতে ইচ্ছুক। মেশিনটি কেনার জন্য রহিম ট্রেডার্স থেকে প্রাপ্ত ১২,০০,০০০ টাকার অঙ্গীকারপত্রটি স্টার ব্যাংকে হস্তান্তর করে ১০,০০,০০০ টাকা সংগ্রহ করেন এবং ঐ ব্যাংক থেকেই ২০,০০,০০০ টাকা ঋণ নেন এবং বাকি অর্থ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবস্থা করেন। স্টার ব্যাংক প্রয়োজনীয় ডলার সংগ্রহ ও আনুষঙ্গিক দলিল প্রস্তুত করে মেশিনটি ক্রয়ে সহায়তা করার ফলে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
জনাব অসীম একজন রপ্তানিকারক। তিনি বিদেশে রপ্তানিকৃত পণ্যের লেনদেন সম্পর্কে নিরাপত্তা পেতে প্রথমে শাপলা ব্যাংকের নিকট গেলেন। তারা জানায় আমরা সকল ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব করলেও এ বিষয়ে কাজ করি না। পরবর্তীতে তালিকাভুক্ত শালুক ব্যাংকের নিকট পরামর্শ ও সহায়তা চাইলে, তারা সহায়তা ও পরামর্শ দিতে চাইল। শালুক ব্যাংকের সহায়তার পরপরই অসীম বিদেশে পণ্য রপ্তানি করল।
জনাব রায়হান ঢাকার ইসলামপুরের একজন পাইকারি কাপড় বিক্রেতা। তিনি ঈদ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ থেকে শাড়ি কাপড় ও থ্রি-পিস ক্রয় করে বিক্রি করেন। এছাড়াও তিনি নগদ অর্থে শীতবস্ত্র ক্রয় করে তা বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন। এ বছর তিনি একটি স্থানীয় এতিমখানায় এতিম বাচ্চাদের জন্য বেশকিছু কাপড় ও অর্থ সাহায্য দিয়েছেন।
সালাম সাহেব অবসরকালীন সময়ের প্রাপ্ত অর্থ ১০% সুদে ‘ভরসা’ কোম্পানির জামানতহীন ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করেন। কিছুদিন পর তিনি ব্যবসা করার জন্য ডিবেঞ্চারগুলো বাজারমূল্যে বিক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি উক্ত টাকা 'রূপন্তি' ও 'প্রকৃতি' নামক দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চান। 'রূপন্তি' প্রকল্পের বিগত ৫ বছরের আয়ের হার ৫%, - ৫%, ১৫%, ৩০%। অপরদিকে 'প্রকৃতি' প্রকল্পের গড় আয় ১৩% এবং আদর্শ বিচ্যুতি ১৫%।
জনাব মাহি তার টাকা এমন শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চান তিনি কোম্পানির মালিকানা পাবেন। মুনাফাসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা থাকলেও তিনি শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। অপরদিকে তার বন্ধু আলম সাহেব এমন কিছু শেয়ারে বিনিয়োগ করেন যেখানে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পেলেও কোম্পানির মালিকানা পাননি। এজন্য তিনি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন।
নাসিফ একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য তিনি ‘গোমতী ব্যাংক’ থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে 'গোমতী, ব্যাংকে' একটি হিসাব খোলার জন্য পরামর্শ দেন। কারণ ঋণের টাকা ঐ হিসাবেই জমা করা হবে। নাসিফ সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করে ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারবেন। এটি গোমতী ব্যাংকের একটি প্রধান কাজ।
জনাৰ 'শীতল ব্যাংকের একজন গ্রাহক। তিনি শীতল ব্যাংক ৫ বছরের জন্য ১,০০,০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন এবং পরিশোধও করেছেন। অন্য এক গ্রাহক জনাব বাতেন দীর্ঘদিন ধরে ঋণ করেননি। ব্যাংক খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তার পক্ষে ঋণ পরিশোধ সম্ভব নয়। তাই ব্যাংক তার সাথে সম্পর্কের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ABC ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব খায়রুল আলম ব্যাংকের আয় বাড়ানোর জন্য অধিক মাত্রায় ঋণ প্রদান শুরু করেন। প্রথম দিকে ভালো মুনাফা করলেও ব্যাংকটি এক সময় তারল্য সংকটে পড়ে। ব্যাংকটি আর্থিক সংকট মোকাবিলার জন্য PC ব্যাংকের শরণাপন্ন হলে তাদের সহায়তায় ABC ব্যাংক দেউলিয়াত্ব থেকে মুক্তি পায় ।
মাহি ট্রেডার্সের পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। যার মধ্যে সাধারণ শেয়ার ৪০%, অগ্রাধিকার ৪৫% এবং অবশিষ্ট ঋণ মূলধন। ৬% শেয়ার এবং ঋণকৃত মূলধনের হার ১০%। সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ারের বাজারমূল্য যথাক্রমে ৩০০ টাকা ও ২৫০ টাকা। কোম্পানি এ বছর শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করে এবং অতীতে লভ্যাংশের বৃদ্ধির হার ছিল ৫%, কর হার ২৫%।
সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটারের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জনাব রাসেল একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেন। তার হিসাব পরিচালনার জন্য তিনি নিকটস্থ একটি ব্যাংকে ব্যবসায়ের নামে হিসাব খোলেন। তিনি প্রতিদিন কয়েকবার টাকা জমা দিতে এবং উত্তোলন করতে পারেন। পরবর্তীতে ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁকে সারা দেশ ভ্রমণ করতে হয় ।
রোজা এন্টারপ্রাইজ ৬০,০০০ টাকা ৬ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে আগ্রহী । বাসন্তী প্রকল্প আগামী পাঁচ বছরে যথাক্রমে ১৮,০০০ টাকা, ১৭,০০০ টাকা, ২০,০০০ টাকা, ১০,০০০ টাকা এবং ৩০,০০০ টাকা পাবেন। অপরদিকে শ্রাবন্তী প্রকল্প থেকে যথাক্রমে ৩০,০০০ টাকা, ২০,০০০ টাকা, ১৮,০০০ টাকা ১৬,০০০ টাকা এবং ১৭.০০০ টাকা পাওয়া যাবে।
শিমুল কোং লি. ২,৫০,০০০ টাকা মূলধনের ১৩% মুনাফায় ৩০% অগ্রাধিকার শেয়ার, ৫৫% সাধারণ শেয়ার এবং ১৫% সুদে অবশিষ্ট ঋণ মূলধনের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন। কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের তালিকা মূল্য ১৩০ টাকা এবং বিক্রয়মূল্য ৯০ টাকা। কোম্পানি এ বছর ১২% লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এবং পরবর্তী বছরে তা ৫% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর হার ৪০%।
রাজবাড়ি জেলার কুসুমপুর বাজারে রূপসা ব্যাংকের একটি শাখা ব্যাংকটি জনগণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সময় সংগ্রহের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আমানত সৃষ্টি করে এবং ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়। ব্যাংকটির একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, "আমানতের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যাংকে সংরক্ষণ করে। যার ফলে গ্রাহক অসন্তুষ্টি হয় না। অপরদিকে ব্যাংকটি ঋণ দেওয়ার পূর্বে ঋণগ্রহীতার আর্থিক সচ্ছলতা, সততা বিচার করা এবং পর্যাপ্ত জামানত রেখে ঋণ মঞ্জুর করে।
সুনামগঞ্জের ফুলদহের পাড়া গ্রামের ছেলে মি. তারেক মৎস্য খামার স্থাপন করতে চান। এ কারণে তার প্রচুর টাকার প্রয়োজন। গ্রামে শিখা ব্যাংকের' একটি শাখা রয়েছে। যার প্রধান কাজ আমানত গ্রহণ ও ঋণ প্রদান। মি. তারেক ব্যাংকে সম্পদ জামানত রেখে ১০ বছরের জন্য ৫ কোটি টাকা ঋণের আবেদন করলে ম্যানেজার ঋণ দিতে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন।
খাগড়াছড়ি শহরের শিক্ষিত মেয়েদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে মিসেস লাবণী আক্তার "লাবণী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র" স্থাপন করেন। ব্যবসায় পরিচালনা করার জন্য তিনি নিকটস্থ চাদনী ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন। উক্ত হিসাবে তিনি প্রতিদিন কয়েকবার অর্থ জমা দেন। তবে সপ্তাহে দু'বারের অর্থ উত্তোলন করতে পারেন না। পরবর্তীতে মিসেস লাবণী আধুনিক ব্যাংকিং এর সুবিধা গ্রহণের ব্যবস্থা নেন।
জনাব তপু ১০ বছর কানাডায় চাকরি শেষে দেশে আসেন। তিনি বিদেশে না। যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জনাব অপু পাটের ব্যবসায় শুরু করেন। তিনি ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনার জন্য 'খ' ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন। কিন্তু হিসাব খোলার সময় তিনি ব্যাংকের কাছে কিছু তথ্য গোপন করেছিলেন। পরবর্তীতে বিষয়টি বোঝতে পেরে ব্যাংক তাঁর হিসাবটি বন্ধ করে দেয়।
মি. বাশার বিশাল ফুড লি.-এর মালিক। তিনি নিজস্ব জমানো অর্থ এবং তার বন্ধুর নিকট থেকে ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংগ্রহ করেন। তিনি নিউমার্কেটের একটি শপিং মলে বিভিন্ন ধরনের বিপুল ক্রেতা দেখে কৌতূহলী হন। শপিং মলের মালিকের নিকট থেকে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে নিজ দোকানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের পাশাপাশি বাচ্চাদের খেলনা ও প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রয় শুরু করেন। এর ফলে প্রতিষ্ঠানে বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়।
ঝিলিক লি. তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। কর্মচারীদের বেতন লেওনারে জন্য তারা 'সাফল্য ব্যাংক' থেকে ৮ লক্ষ টাকা ১ বছরের জন্য ঋণ নেয়, এবং সময়মতো তা পরিশোধ করে। কিন্তু বর্তমানে নতুন কারখানায় উৎপাদন শুরু করার জন্য ৬ কোটি টাকার ক্রয় করা প্রয়োজন, যা প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিষ্ঠানটি 'প্রিয়া ফাইন্যান্স লি.'- এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ভাড়ার বিনিময়ে মেশিন ব্যবহারের সুযোগ নেয়।
রফিক ও শফিক দুই বন্ধু। রফিক তার প্রয়োজনে ১০ বছরের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে চান। 'X' ব্যাংক তাকে বার্ষিক ১০% হারে ঋণের প্রস্তাব দিয়েছে এবং 'y' ব্যাংক তাকে ৯% মাসিক হারে ঋণ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেছে। অপরদিকে শফিক তার টাকা 'Z' ব্যাংকে জমা রাখতে চান। ব্যাংক ৯.৭৫% হারে ৫ বছর পর ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
জনাব মিজান ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে ব্যাংক থেকে ১০% সুদে ১০ লক্ষ টাকা ৪ মাস পর পর সুদ পরিশোধ করার শর্তে ঋণ নিয়েছেন। মিজান সাহেব সান' ও 'মুন' নামক দুটি প্রকল্পের কথা ভাবছেন। 'সান' প্রকল্প থেকে আগামী ৫ বছরে সম্ভাব্য আয়ের হার যথাক্রমে ২০%, ১৫%, -১০%, ৫% এবং ২৫%। আগামী ৫ বছরে 'মুন' প্রকল্পের সম্ভাব্য গড় আয় ১৫% এবং ঝুঁকির পরিমাণ ১৪.২০% ।
র্যাংগস লি.-এর বিনিয়োগের জন্য ৩টি প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলোর মেয়াদ ৩ বছর এবং প্রাথমিক বিনিয়োগ ১ কোটি টাকা। প্রথম প্রকল্পটির প্রাক্কলিত বিক্রয় যথাক্রমে ২০ লক্ষ, ৩০ লক্ষ এবং ৭০ লক্ষ টাকা। অন্যান্য চলতি খরচ বিক্রয়ের ২০% এবং কর হার ৩০%। দ্বিতীয় প্রকল্পের কর পরবর্তী নিট মুনাফা ৮ লক্ষ, ১২ লক্ষ ১০ লক্ষ টাকা। তৃতীয় প্রকল্পটির পে-ব্যাক সময় ৩.১৪ বছর।
রাফা কোম্পানি লি. শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করে। কোম্পানি বর্তমানে ১,৫০০ টাকা লিখিত মূল্যের ১০% অগ্রাধিকার শেয়ার বাজারে বিক্রির চিন্তা করছে। প্রতিটি শেয়ার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ ১,২০০ টাকা। এ বছর মুনাফার পরিমাণ বেশি হওয়ায় কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে মুনাফার সম্পূর্ণ অংশ বণ্টন না করে কিছু অংশ একটি তহবিলে সংরক্ষণ করে।
সারা দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাতায়াতের রিক্সাভাড়া এবং টিফিনে খাওয়ার জন্য তার মা জনাব নাঈমা প্রতিদিনই তাকে ৫০ টাকা দেন। রিক্সায় স্কুলে গেলেও অধিকাংশ দিনই সাবা বান্ধবীদের সাথে হেঁটেই বাসায় ফিরে। ফলে কিছু অর্থ হাতে থাকে। এভাবে সারা মাসের সঞ্চিত অর্থ জনাব নাঈমা সাবাকে নিয়ে গিয়ে সাবার নামে ব্যাংক হিসাব খুলে সেখানে জমা করে দেন। প্রতি মাসে ব্যাংকে যাতায়াত করার কারণে তার পাঠ্যপুস্তকের ব্যাংকিং অংশটি সে খুব ভালো বুঝেছে।
'সূর্য' ও 'চন্দ্র' নামক ব্যাংকটি দুটি 'স্টার' ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন দুটো ক্ষুদ্র ব্যাংক। ব্যাংক তিনটি যৌথ সভায় তাদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখে যে গ্রাহকের উত্তোলনের চাহিদা মেটানোর জন্য তারা গত সপ্তাহে প্রতিদিন ১০ কোটি টাকা নগদ রাখলেও গ্রাহকরা ৫ কোটি টাকা মাত্র উত্তোলন করে। আবার ব্যাংকের একজন ঋণগ্রহীতার ২ কাঠা জমি বিক্রয় করেও ঋণের টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি ।
সুজন ট্রেডার্সের পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা। যার মধ্যে সাধারণ শেয়ার ৪০%, অগ্রাধিকার শেয়ার ৪৫% এবং অবশিষ্ট ঋণ মূলধন। ৬% অগ্রাধিকার শেয়ার এবং ঋণকৃত মূলধনের সুদের হার ১০%। সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ারের বাজারমূল্য যথাক্রমে ৩০০ টাকা ও ২৫০ টাকা। এ বছর কোম্পানি শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করে এবং অতীতে লভ্যাংশ বৃদ্ধির হার ছিল ৫%, করহার ২৫%।
জনাব আলম তাঁর গ্রামের হাটে একটি ব্যাংকের শাখা দেখে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছোট ভাইকে প্রশ্ন করল, “এই গ্রাম্য বাজারে ব্যাংকের কী প্রয়োজন?” উত্তরে ছোট ভাই বললো, “সরকারের এই ব্যাংক স্থাপনের ফলে, গ্রামে বসবাসরত মানুষকে শহরে যেতে হচ্ছে না। তাঁরা কৃষিকাজসহ ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাংকের সহযোগিতা পাচ্ছে। খাপ নিয়ে উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।”
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সেতু। এ সেতু চলাচলের উপযোগী হলে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য খুলে যাবে বলে প্রত্যাশা সবার। এ প্রকল্পের জন্য সর্বপ্রথম বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে অর্থায়ন করার পরিকল্পনা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করলে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে টিকে থাকতে সরকার এ রকম প্রকল্পে অর্থায়ন করেন।
জনাব রাবেয়ার হাতে দুটি প্রকল্প রয়েছে যেগুলোর বিভিন্ন তথ্য নিম্নে প্রদত্ত হলো-
পূর্বানুমান | রিম | ঝিম |
১ম বছর বিক্রয় | ১,০০,০০০ | ১,৫০,০০০ |
২য় বছর বিক্রয় | ২,০০,০০০ | ১,৭৫,০০০ |
৩য় বছর বিক্রয় | ৫,০০,০০০ | ৫,৫০,০০০ |
স্থায়ী খরচ | ৪০,০০০ | ৪৫,০০০ |
চলতি খরচ (চলতি বিক্রয়ের %) | ৩০% | ৩০% |
কর হার | ৪০% | ৪০% |
প্রকল্প দুটির মেয়াদকাল ৩ বছর এবং প্রত্যেক প্রকল্পের জন্য ৭,০০,০০০ টাকা করে প্রাথমিক বিনিয়োগ প্রয়োজন।
ব্যাংকিং জগতের মুরুব্বি হিসাবে 'A ব্যাংক' এ বছর R, D ও M নামক তিনটি ব্যাংক স্থাপনের অনুমতি দেয়। উক্ত ব্যাংক সরকারের পক্ষ হয়ে দেশের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে। R ব্যাংক সংগৃহীত আমানত বিনিয়োগে কোনো প্রকার যাচাই বা পর্যালোচনা করেনি। ফলে ব্যাংকটি আর্থিক সংকটে পড়ে। গ্রাহকদের বিভিন্ন আর্থিক পরামর্শ প্রদান করে জনগণের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করে স্থান করে নিয়েছে।
জনাব রহমান একজন চাকরিজীবী। দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে তিনি প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা বন্ধু ব্যাংকে রাখেন। বেশ কিছুদিন চাকরি করার পর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরি ছেড়ে জমানো টাকা দিয়ে প্রয়োজনে বন্ধু ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন। সিদ্ধান্ত অনুসারে উক্ত ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করলেন। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তার অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আসতে শুরু করল ।
মি. মারুফ সাহেব একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি অবসরের কিছু টাকা 'X' ও 'Y' প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু অবসরের টাকা অপর্যাপ্ততার কারণে একটি প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রকল্প দুইটির গত ৫ বছরের আয়ের পরিমাণ নিম্নরূপ:
বছর | প্রকল্প “X” (আয়) | প্রকল্প “Y” (আয়) |
২০০০ ২০০১ ২০০২ ২০০৩ ২০০৪ | ২৪% ২২% ১৮% ২০% ১৬% | ২৪% ২০% ১১% ২১% ১১% |
মেঘনা ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি মেনে চলে। ব্যাংক এমনভাবে অর্থ পরিচালনা করে, যাতে নগদ অর্থ কমে না যায় আবার বেশি অর্থ উদ্বৃত্ত না থাকে। জামানত ছাড়া ব্যাংক ঋণ প্রদান করে না। গ্রাহকের সাথে সুসম্পর্ক, সুনাম বৃদ্ধি, ব্যাংক কার্যক্রম সম্পর্কে প্রচার ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাংকটি সাফল্যের সাথে চলছে।
মি. মোয়াজ ব্যবসার কাজে অনেক টাকা চট্টগ্রামে নিয়ে যাবেন। তিনি সকল টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে নিয়েছেন। বেশ কিছুদিন পর আবার ব্যবসার কাজে খুলনায় অনেক টাকা নিতে হবে। এবার আর ব্যাংক ড্রাফট প্রয়োজন হয়নি। তিনি চেক বই নিয়ে গিয়েই টাকা উঠিয়েছেন। তিনি এখন ATM কার্ড ব্যবহার করেন। তাই চেকেরও আর প্রয়োজন হচ্ছে না।
জনাব মনসুর ৬ বছর পর ১০,০০,০০০ টাকা পাওয়ার আশায় বর্তমানে কিছু টাকা ‘টগর ব্যাংকে' বার্ষিক ১০% হার সুদে জমা রাখেন। অপরদিকে তার বন্ধু তানভীর ২,০০,০০০ টাকা ব্যাংকে ৮ বছরের জন্য জমা রাখতে চান। 'ডালিয়া ব্যাংক' তাকে ৮ বছরে দ্বিগুণ অর্থ প্রদানের প্রস্তাব দেয়। জনাব মনসুর তার বন্ধুকে টগর ব্যাংকে' অর্থ রাখার পরামর্শ দেন।
জনাব মেহরাজ ৫ বছর পূর্বে 'স্মৃতি লি.' ও 'ঐশী লি.' নামক দুইটি কোম্পানির শেয়ারে অর্থ বিনিয়োগ করেন। নগদ অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় তিনি একটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দিতে চান। কিন্তু বাজারে শেয়ারের মূল্য কমে যাওয়ায় তিনি প্রত্যাশিত মূল্যে তা বিক্রয় করতে পারছেন না। 'স্মৃতি লি.' এর আদর্শ বিচ্যুতি ৩.৪৫%। 'ঐশী লি.' থেকে আগামী ৫ বছরে প্রাপ্ত আয় হার যথাক্রমে ৮%, ১০%, ৬%, ৪% এবং ২%।
জনাব অঞ্জন 'কাবেরী' এবং 'চামেলী' নামে দুটি প্রকল্পের যে কোনো ৩০,০০,০০০ টাকা ৬ বছরের বিনিয়োগ করতে চান। প্রত্যেক প্রকল্পের বার্ষিক অবচয়ের পরিমাণ ৫,০০,০০০ টাকা । 'কাবেরী' প্রকল্পের পে-ব্যাক সময় ৩.৫ বছর। ‘চামেলী' প্রকল্পের নিট মুনাফাসংক্রান্ত তথ্য নিম্নরূপ :
বছর | বছর-১ | বছর-২ | বছর-৩ | বছর-৪ | বছর-৫ | বছর-৬ |
নিট মুনাফা | ৪,০০,০০০ | ৬,০০,০০০ | ৩,০০,০০০ | ৫,০০,০০০ | ৪,৫০,০০০ | ৫,৫০,০০০ |
জনাব আশরাফ তার পৈত্রিক জমি বিক্রয়লব্ধ অর্থ পাউরুটি, কেক, বিস্কুট ইত্যাদি বেকারি পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ের ব্যবসায় শুরু করেন। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল ক্রয়, শ্রমিকের মজুরি খরচ পণ্য বিক্রয়লব্ধ অর্থ দ্বারা নির্বাহের চেষ্টা করেন এবং খুব বেশি প্রয়োজন হলে স্বল্পমেয়াদি উৎস হতে তা সংগ্রহ করেন।
চিত্রা ব্যাংক জনগণের সঞ্চিত অর্থ জমা রাখে এবং বিনিময়ে তাদের কিছু সুবিধা প্রদান করে। জনাব রায়ান একজন পোশাক শিল্পের মালিক। তিনি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করেন এবং তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি তার ব্যবসায়িক কার্যাবলির জন্য তিনি চিত্রা ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন। পণ্য ক্ষেত্রে ব্যাংকটি রপ্তানিকারককে জনাব রায়ানের পক্ষ থেকে অগ্রিম অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করে।
জনাব সোনালী শীতকালে অধিক শীত অনুমান করে একটি শীত বস্ত্রের দোকান দেন। এর সাথে অন্য মালামালও বিক্রি করেন। মুনাফা ভালোই হচ্ছিল। হঠাৎ বেশি পরিমাণে কাঁচামাল ক্রয়ের কারণে অর্থের অভাব দেখা দিলে তিনি ব্যবসায় পরিচালনা করতে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক ব্যক্তির পরামর্শে ব্যাংক থেকে ঋণ নেন তিনি।
আতিক একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ের প্রয়োজনে তিনি প্রায়শই ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করেন। আতিক তার ব্যবসায় দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও সম্প্রসারিত করেছেন। তাই তাকে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে হয়। দেশে উন্নত ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকায় তার আর্থিক লেনদেন সম্পাদন অনেক সহজ হয়ে উঠেছে।
রাহিম সাহেব একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। প্রতিষ্ঠানের মেশিন ক্রয়ে বিক্রয়লব্ধ অর্থ ব্যয় করা ছাড়াও বিভিন্ন স্থায়ী সম্পত্তি ক্রয়ে বায় করেন। ফলে অল্প কিছু দিনের মধ্যে আর্থিক সংকটে পড়ে কাঁচামাল ক্রয়, মজুরি ও ভাড়া প্রদানে ব্যর্থ হয়। অর্থের সংকট মোকাবিলায় পরিকল্পনামাফিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করলে ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং মুনাফা বৃদ্ধি পায়।
প্রকাশ বাবুর যাবতীয় মনিহারি দ্রব্যসামগ্রী বিক্রয়ের একটি প্রতিষ্ঠান আছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ব্যবসায়ের পরিধি বাড়ানোর জন্য স্কুল, কলেজের বই এবং জনপ্রিয় লেখকদের গল্প ও উপন্যাস বই বিক্রি শুরু করেন। ব্যবসায়ের পরিধি বাড়াতে তার প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। নিজস্ব তহবিল, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে অর্থ ধার করেন। তা সত্ত্বেও অর্থের চাহিদা মিটাতে না পারায় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
সেলিম মিয়া দিনাজপুরের একজন আলু ব্যবসায়ী। তিনি একই এলাকায় অবস্থিত 'চিত্রা ব্যাংক লিমিটেড' এ হিসাব খুলেছেন। এই ব্যাংকের একটিমাত্র শাখা এবং এটি শুধু দিনাজপুর এলাকাতেই কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরবর্তীতে তিনি ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করতে গিয়ে অর্থ স্থানান্তর করাসহ আমদানি রপ্তানিকার্যে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।
সরকারের সহযোগিতায় বেসরকারি মালিকানায় 'লুইস ব্যাংক লি.' নামে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ ব্যাংক দেশের শিল্প খাত উন্নয়নের লক্ষ্যে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও কারখানাশিল্পের উন্নয়নে কাজ করে। পাশাপাশি ব্যাংকটি শুরুতে প্রচুর পরিমাণ ঋণ দিয়ে গ্রাহকদের দৃষ্টি কাড়ে। ঋণদান এবং বিনিয়োগের পরিমাণ অতিরিক্ত হওয়ায় আমানতকারীদের জমাকৃত অর্থ সময়মতো পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
মারুফ হোসেন একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তার একটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। সে ইচ্ছামতো ব্যাংকে লেনদেন করে। ব্যবসায় সম্প্রসারণ করে নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে দেশের জনগণের বেকারত্ব দূর করে। শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে তার প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। অর্থের চাহিদা মেটানোর জন্য মারুফ হোসেন উক্ত ব্যাংকে ঋণের আবেদন করে।
তারিম এন্টারপ্রাইজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪০,০০,০০০ টাকার একটি মেশিন কোরিয়ার হুংওয়া কোম্পানি থেকে ক্রয় করতে ইচ্ছুক। মেশিনটি কেনার জন্য প্রাপ্ত ১০,০০,০০০ টাকার অঙ্গীকারপত্রটি মুন ব্যাংককে হস্তান্তর করে ৯,০০,০০০ টাকা সংগ্রহ করেন এবং ঐ ব্যাংক থেকেই ১৫,০০,০০০ টাকা ঋণ নেন এবং বাকি অর্থ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবস্থা করেন। মুন ব্যাংক প্রয়োজনীয় ডলার সংগ্রহ ও আনুষঙ্গিক দলিল প্রস্তুত করে মেশিনটি ক্রয়ে সহায়তা করার ফলে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘পদ্মা ব্যাংক’ একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি অন্যান্য ব্যাংকের মতোই দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন করে। ব্যাংকটি জনগণের অর্থ আমানত হিসাবে গ্রহণ করে এবং উক্ত অর্থ জনগণের মাঝে বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ হিসেবে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে। ঋণ দেওয়ার সময় দেশের সকল শ্রেণির জনগণ যাতে সমান সুযোগ-সুবিধা পায় সে দিকে খেয়াল রাখে এবং জনগণের মূল্যবান সম্পদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখে এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করে।
মুদি দোকানি জনাব মতিউর গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি জনাব হাশেমের নিকট থেকে সাপ্তাহিক ১% চক্রবৃদ্ধি সুদে কিছু টাকা ধার নেয়। অন্যদিকে জনাব রফিক ৮ বছর পর ৩ লক্ষ টাকা পাওয়ার আশায় কিছু টাকা ব্যাংকে রাখতে চান কো ব্যাংক বছরে ১০% হারে সুদ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। পক্ষান্তরে, জানিব্যাংক ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধিতে ৮% সুদ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে।
'সান' এন্টারপ্রাইজ ৩ বৎসর মেয়াদি 'গোল্ডেন ফিউটার' নামে একটি প্রকল্পে ২৪ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করল। আগামী ৩ বছরে প্রাক্কলিত বিক্রয় যথাক্রমে ২ লক্ষ ৫০ ৭ লক্ষ এবং ৯ লক্ষ টাকা। আরও অনুমান করা হয় যে, প্রতি বৎসর বিক্রয়ের ৪০% চলতি খরচ হবে। স্থায়ী খরচ হবে প্রতি বৎসর ১ লক্ষ টাকা। প্রাক্কলিত বার্ষিক অবচয় ৯৫,০০০ টাকা সর্বশেষ ৩০% কর অনুমান করা হয়। অন্যদিকে 'খুন' প্রকল্পের বিগত তিন বছরের নগদ প্রবাহ ৭০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা, ১৪ হাজার টাকা । স্টার প্রকল্পের বিনিয়োগকৃত টাকা ২.২৫ বছরে ফেরত আসবে।
জনাব সামি তার ৫ কোটি টাকা 'ক' ও 'খ' নামে দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছেন। 'ক' প্রকল্পের ৩ বছরের বিক্রয়ের পরিমাণ যথাক্রমে ৫০ লক্ষ, ১.৫ কোটি ও ২ কোটি টাকা। চলতি খরচ বিক্রয়ের ৩৫% এবং কর ৩০%। আর 'খ' প্রকল্পের গড় মুনাফা ১২.৪ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে তার সামনে 'গ' নামে অন্য একটি প্রকল্পে সুযোগ যা থেকে ৩ বছরে নগদ প্রবাহ যথাক্রমে (-০.৫) লক্ষ, ৯৩.০৮ লক্ষ, ৪০.১০ লক্ষ ।
স্বনামধন্য ব্যাংক 'গোলাপ ব্যাংক লি.' গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুসারে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং এর নতুন নতুন পণ্যের মাধ্যমে যুগোপযোগী সেবা প্রদান করছে। সম্প্রতি ব্যাংকটি তাদের আমানতকৃত টাকার প্রায় অধিকাংশই বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে। এ কারণে বর্তমানে ব্যাংকটি গ্রাহকদের চাহিদামতো অর্থ প্রদান করতে পারছে না।
শিহাব 'গড়াই' ব্যাংকে লেনদেন করেন। ব্যাংকটি জনগণের নিকট পড়ে থাকা অলস অর্থ গচ্ছিত রাখে এবং প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়। অন্যদিকে তার বন্ধু জনাব ইমন 'কাজল' ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। ব্যাংকটি নিম্নোক্ত সেবাগুলো সংযোজন করেছে।
i. গ্রাহকদের ব্যবসায়ে মূলধন বাবদ অর্থ সরবরাহ করা।
ii. বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কারবারে আসবাবপত্র ব্যবহারের সুবিধা প্রদান ।
সুপ্রতিষ্ঠিত বরেন্দ্র ব্যাংক লি. জনগণের নিকট থেকে বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। সম্প্রতি ব্যাংকটি ব্যবসায়ী জনাব সাদিকুলকে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ মঞ্জুর করে। জনাব সাদিকুল একটি হিসাব খোলেন এবং সেই হিসাবের মাধ্যমে ঋণের অর্থ উত্তোলন করেন। অপরদিকে লন্ডন প্রবাসী জনাব রাশিক ঢাকা থেকে তার ফ্ল্যাট বাড়ির ভাড়া সংগ্রহ করা নিয়ে চিন্তিত হলে তার ব্যাংকার বন্ধু তাকে ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন এবং এটি ব্যাংকের একটি কাজ।
নন্দি গ্রামের দরিদ্র বাসিন্দারা জামানত ছাড়া অগ পেত না। কিন্তু 'ক' ব্যাংক জামানতবিহীন ঋণ সেবা প্রদান করে তাদেরকে ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে অপরদিকে, জাপানের টোকো কোম্পানি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সুমনকে কম্পিউটার যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে চাইলে 'খ' ব্যাংক টোকো কোম্পানিকে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয়।
মুদি ব্যবসায়ী জনাব আলম গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি জনাব ফরিদের নিকট থেকে সাপ্তাহিক ১% চক্রবৃদ্ধি সুদে কিছু টাকা ধার নেয়। অন্যদিকে জনাব রফিক ৮ বছর পর ৩ লক্ষ টাকা পাবার আশায় কিছু টাকা ব্যাংকে রাখতে চান। 'ক' ব্যাংক বছরে ১০% হারে সুদ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। পক্ষান্তরে, “খ” ব্যাংক ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধিতে ৮% সুদ প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছেন।
'সান' ৩ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ফিউচার নামে একটি প্রকল্পে ২৪,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করল। আগামী ৩ বছরে প্রাক্কলিত বিক্রয় যথাক্রমে ২ লক্ষ ৫০ হাজার, ৭ লক্ষ এবং ৯ লক্ষ টাকা। আরও অনুমান করা হয় যে, প্রতি বৎসর বিক্রয়ের ৪০% চলতি খরচ হবে। স্থায়ী খরচ হবে প্রতি বৎসর ১ লক্ষ টাকা। প্রাক্কলিত বার্ষিক অবচয় ১৫,০০০ টাকা, সর্বশেষ ৩০% কর অনুমান করা হয়। অন্যদিকে 'মুন' প্রকল্পের বিগত তিন বছরের নগদ প্রবাহ ৭০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা, ১৪ হাজার টাকা, স্টার প্রকল্পের বিনিয়োগকৃত টাকা ২.২৫ বছরে ফেরত আসবে।"
জনাব আজম সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাবদ প্রাপ্ত ৪ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করতে চাইলে তার চাচা তাকে জানান পৌরসভা এলাকার মধ্যে জমি কিনলে জমির মূল্য বছরে দ্বিগুণ হবে। অপরদিকে শেয়ারে বিনিয়োগকারী জনাব আজাদ সুরমা ও যমুনা নামক দুটি প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। যা ৫ বছরে প্রাপ্ত আয়ের তথ্য নিন্মরূপঃ
প্রকল্প | বছর-১ | বছর-২ | বছর-৩ | বছর-৪ | বছর-৫ |
সুরমা | ২০% | ২২% | ১৬% | ১৮% | ১৪% |
যমুনা | ১০% | ২০% | ১৮% | ১৯% | ২৩% |
'রয়াল টেক্সটাইল লি. দেশের সকল জেলা উপজেলায় তার গ্রাহকদের সাথে। "বন্ধু ব্যাংকের' মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে। সম্প্রতি জাপানের একটি কোম্পানি থেকে সুতা আমদানির প্রস্তাব দিলে, কোম্পানিটি ব্যাংকিং নিশ্চয়তা চায় এবং অগ্রিম অর্থ দাবি করে। এমতাবস্থায় রয়াল টেক্সটাইল লি. বন্ধু ব্যাংকের সহায়তা চাইলে ব্যাংকটি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে।
জনাব মিলকান তার ব্যবসায়ের সঞ্চিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন। শেয়ারবাজারের অনবরত দরপতনের কারণে তিনি তার শেয়ারগুলো বিক্রি করে ৫ বছরের জন্য বন্ডে বিনিয়োগ করেন। হঠাৎ তার ব্যবসায়ে অর্থসংকট দেখা দিলে, তিনি বহু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বন্ডের জন্য উপযুক্ত ক্রেতা পাওয়া না যাওয়ায় তিনি খুব হতাশ হন। পরবর্তীতে বন্ডের মেয়াদপূর্তির পর টাকা হাতে আসলে, তিনি 'ইলসা' ও 'নিলিমা' নামক দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। ইলসা' প্রকল্প হতে ৫ বছরে আয়ের হার যথ ১০%, ২০%, ৫%, ১৫% ও ৩৫% এবং নিলিমা প্রকল্পের গড় আয় ১২% ।
জনাব জারজিস অনেক দিন ধরে 'ফার্মা' ও 'ডেটা' নামে দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছেন। প্রকল্পে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে তিনি শর্মী ব্যাংক থেকে কিছু ঢাকা ঋণ নেন। ঋণের সুদ উভয় বিনিয়োগের আয় থেকে পরিশোধ করবেন। 'ফার্মা' প্রকল্পে বিনিয়োগ করে ৪ বছরে বিক্রয় 1374 3,00,000, bro,000, 40,000, ৬০,০০০ টাকা। অবচয় ৮,০০০ টাকা, পরিবর্তনশীল খরচ ১০,০০০ টাকা এবং কর হার ২০%। 'ডেল্টা' প্রকল্পে বিনিয়োগকৃত টাকা তিনি ৩ বছরের মধ্যেই ফেরত পান।
জনাব রেশাদের ছেলে রোহান এমবিএ শেষ করে বিভিন্ন ধরনের গ্লাস ও সিরামিক তৈরির কারখানা স্থাপন করেন। তিনি আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানসম্মত পণ্য তৈরী করেন। সম্প্রতি তিনি ব্যবসায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে 'জননী ব্যাংক' থেকে ৯% সুদে ১০ বছরের জন্য ঋণ নেন। তার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রচুর শ্রমিক কাজ করে। চলতি বছরের বিক্রয়কৃত অর্থ সিটি ব্যাংকের বন্ডে বিনিয়োগ করায় গ্লাস ও সিরামিক তৈরির উপাদান বালির দাম তুলনামূলক সস্তা হওয়া সত্ত্বেও মি. রোহান প্রয়োজনীয় মজুদ সংরক্ষণে ব্যর্থ হন ।
জনাব আহাদ ও জনাব ফাহাদ ৭ বছর বিদেশ যাত্রা শেষ করে সদ্য দেশে ফিরেন। জনাব আহাদ তার জমাকৃত টাকা দিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানির ব্যবসায় শুরু করেন এবং অবশিষ্ট টাকা তিনি 'লাবণী ব্যাংকে' ৭ বছরের জন্য জমা রাখতে চান। উক্ত ব্যাংক তাকে ৭% সুদে মেয়াদ শেষে ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দিবে বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে তার বন্ধু ফাহাদও ফার্নিচার তৈরির ব্যবসায় শুরু করেন। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তিনি ২২ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে চান। ইউনাইটেড ব্যাংক' তাকে যা্যাসিক ৮.৫% সুদে ঋণের প্রস্তাব দিয়েছে এবং 'আলফা' ব্যাংক তাকে মাসিক ৭.৫% সুদে ঋণের প্রস্তাব দিয়েছে। দুই ব্যাংককেই ১০ বছরের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে।
রাফি ও শাফি দুইভাই এবং দুইজনই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। রাফির প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন ধরনের কাপড় তৈরি ও রপ্তানি করে। শাফির প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের খাদ্যজাত যেমন : চিপস, চানাচুর, বিস্কুট, কেক ইত্যাদি তৈরি করে। শাফি উক্ত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপক। সম্প্রতি শাফি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উৎপাদন ব্যবস্থাপক মি. আমিনকে খাদ্যসামগ্রী তৈরির পাশাপাশি বাচ্চাদের খেলনা তৈরির প্রস্তাব দেন। অন্যদিকে রাফির প্রতিষ্ঠান ৫ লক্ষ টাকার মেশিন ক্রয়ের জন্য ABC ব্যাংক হতে ৫ বছরের পরিশোধ শর্তে ঋণ নেন।
জনাব রাহেলা স্বনামধন্য 'মিতালি ব্যাংকের' একজন শাখা ব্যবস্থাপক। তার দুই প্রিয় বন্ধু রহিম ও ফাহিম। তাদের ব্যবসায়ের জন্য বড় অঙ্কের ঋণের প্রয়োজন হলে তারা জনার রাহেলার ব্যাংকে যান এবং তিনি যথাসাধ্য সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও জনাব রাহেলা তাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই-বাছাই করেন এবং পরবর্তীতে ঋণ মঞ্জুরে সহায়তা করেন। এছাড়াও ফাহিম তার ব্যবসায়ের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সব দলিল 'মিতালি ব্যাংকে জমা রাখেন। উক্ত ব্যাংক তার পক্ষে বিভিন্ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং তাকে ব্যবসায়ের উন্নতির জন্য নানা রকম পরামর্শ দান করে।
'সুরমা' একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। এই ব্যাংকের দেশে শাখা থাকার পাশাপাশি সৌদি আরব, দুবাই, লন্ডন, চায়না আরও অন্যান্য দেশে ব্যাংকিং কার্যাবলি সম্পাদন করে। লাভজনকতা যাচাইয়ের মাধ্যমে এই ব্যাংক তার আমানতের একটি অংশ বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে। যদিও এই ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন, তথাপি এটি শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে এবং প্রতি বছর পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের এসব অগ্রগতির কারণে গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গ্রাহকরা সয়ে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে “সুরমা ব্যাংকের' আমানত আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে যা দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
বর্তমানে 'মডার্ণ' একটি জনপ্রিয় ব্যাংক। মি. রাশেদ এই ব্যাংকের বিশ্বস্ত গ্রাহক। রাশেদ সাহেব উক্ত ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন এবং ঋণ যথাসময়ে মঞ্জুর হয়। উক্ত ঋণের টাকা মি. রাশেদ ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে উক্ত হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। এছাড়া মি. রাশেদ বিদেশ থেকে পণ্য ক্রয়ের সময় উক্ত ব্যাংক তার পক্ষে অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। বর্তমানে এই ব্যাংক তার কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। মডার্ণ ব্যাংক' নতুন নতুন পণ্য ও সেবা গ্রাহকের সামনে উপস্থাপনের মাধ্যমেও গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে।
রনি ও জনি দু'জন ব্যবসায়ী। রনির অতিরিক্ত মূলধনের দরকার হলে তিনি তার অফিসের পাশে 'শাপলা ব্যাংক' হতে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। তিনি ব্যবসায়ের ঢাকায় গেলে শাপলা ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় হতে উক্ত টাকা উত্তোলন করেন। অন্যদিকে তার বন্ধু জনি তার নিজস্ব জমিতে সবজি চাষ করেন। কিন্তু সবজি বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায়, তিনি খুব হতাশ হন। তাই তিনি আরও কয়েক শ্রেণির চাষিদের একত্রিত করে একটি সংগঠন করেন। জনি তার আরও একটি জমিতে চাষের জন্য তাদেরই প্রতিষ্ঠিত সংগঠন টগর ব্যাংক' থেকে ২ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। টগর ব্যাংকের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো সদস্যগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং নিম্নবিত্তদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান। বর্তমানে জনি একজন সফল ব্যবসায়ী।
কয়েক বছর ধরে 'ক' ও 'খ' ব্যাংকের মুনাফার হার কমে যাওয়ায়, উক্ত ব্যাংক ‘গ’ ব্যাংকের সাথে একত্রিত হয়ে 'রূপসী ব্যাংক' নামে আত্মপ্রকাশ করে। 'রূপসী ব্যাংক' মার্চ মাসে তার আয়ের বেশির ভাগ অংশ দিয়ে 'রাজনা প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন। চলতি বছরের মাসে তার দুজন গ্রাহক বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলন করতে চাইলে "রূপসী ব্যাংক' তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। তবে উক্ত ব্যাংকটি ডেবিট কার্ড, কার্ড, ভিসা কার্ড ও এসএমএস ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করে এবং গ্রাহকের সকল হিসাবের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে বিশ্বস্ততা অর্জন করে।